‘আপনারা জীবন বাঁচাতে এসেছেন, মুখ দেখতে নয়’, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তোপ মণিপুর CM-এর

গত বছরের মে মাস থেকে অশান্ত হয়েছে মণিপুর। তারপর চলতি বছরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তাঁর অভিযোগ, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, শুধু দেখলে হবে না কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শুধু দেখার জন্য মোতায়েন করা হয়নি, রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই ফের হিংসা মণিপুরে! ৪ জনের মৃত্যু, বুলেটে আহত ৫

মণিপুরে ৫২ তম রাজ্য দিবস উপলক্ষে বীরেন ইম্ফলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য পুলিশ, পুলিশ কমান্ডো, ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (আইআরবি) এবং মণিপুর রাইফেলসকে (এমআর) সব সময় নজরদারি চালানোর জন্য পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাসের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি মণিপুরের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বীরেন বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে সশস্ত্র বাহিনী নিরীহ নাগরিকদের উপর হামলা চালাচ্ছে, যা অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত।’ যারা রাষ্ট্রের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘তাদের জানা উচিত যে রাজ্যের আদিবাসীরা একত্রিত হয়ে এই ধরনের যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ঐক্যবদ্ধ হবে।’

সীমান্তবর্তী শহর মোরেহে বিদ্রোহীদের গুলিতে দুই পুলিশকর্মী নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য। প্রথম জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় ১৮ জন নাগরিক মারা গিয়েছেন। এছাড়া ১০ জনের বেশি নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। একাধিক নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও কেন মণিপুর সঙ্কট আট মাস ধরে চলছে? তা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে। উল্লেখ্য, মণিপুরে প্রায় ৬০ হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মুখ্যমন্ত্রী যে মোটেও সন্তুষ্ট নন তা এই দিনের বক্তব্যে স্পষ্ট বোঝা যায়।