নওগাঁর মাসুদের গুদামে ১২৮ টন গম ও ২০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুত

নওগাঁর মান্দায় লাইসেন্সবিহীন গুদামে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ্য মজুতের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। সেখান থেকে অবৈধভাবে মজুত করা ১২৮ মেট্রিক টন গম, ২০ হাজার ৭২ লিটার সয়াবিন তেল, আটা, চিনি ও ছোলা জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে মজুতবিরোধী এই অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা আঞ্জুমান বানু।

অভিযান চলাকালে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তার নাম মাসুদ রানা (৩৮)। বাবা মনছুর আলীর নামে গুদাম খুলে খাদ্যপণ্য মজুত করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মাসুদ পরানপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা। আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, গোয়ালপাড়া গ্রামের একটি গুদামে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে বলে গোপন তথ্য পাই আমরা। পরে গুদামে অভিযান চালিয়ে ১২৮ মেট্রিক টন গম, ২০ হাজার ৭২ লিটার সয়াবিন তেল, আট হাজার কেজি আটা-ময়দা, ২৭ হাজার ১৭৫ কেজি অ্যাংকর ডাল, চার হাজার ৫০ কেজি চিনি, চার হাজার ৭০০ কেজি ছোলা ও এক হাজার ২০০ কেজি লবণের অবৈধ মজুত পাওয়া যায়। খাদ্যপণ্যগুলো মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামে কেনা হয়। তবে এই নামে বা অন্য কোনও নামে মাসুদের ব্যবসায়িক লাইসেন্স নেই। পণ্য মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করাই তার মূল ব্যবসা। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে।

ইউএনও আরও বলেন, অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুত করায় ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। অতিরিক্ত মালামাল মজুত করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা না করে তার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে মামলা করবেন।

অভিযানের সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

অভিযানের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যপণ্য মজুত করে মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। এ ধরনের মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।