Bulldozer action in Mumbai: রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ ঘিরে হিংসা হয়েছিল মুম্বইতে, সেখানেই এবার চলল বুলডোজার

মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে থানে জেলার মীরা রোডে সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল রামমন্দিরের অনুষ্ঠানের আগের রাতে। এই আবহে এবার স্থানীয় প্রশাসন সেই অঞ্চলে গিয়ে ‘বেআইনি কাঠামো’ ভেঙে দিল বুলডোজার দিয়ে। প্রসঙ্গত, মীরা রোডে সোমবারও পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এই আবহে যে সব বাড়ি থেকে পাথর ছোড়া হয়েছিল, সেগুলির অধিকাংশই নাকি বেআইনি। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে জানান, এই এলাকায় যত বেআইনি কাঠামো বা বাড়ি, দোকান আছে, তা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, একনাথ শিণ্ডে নিতে থানের বাসিন্দা। তাঁর এলাকাতেই এমন সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় কড়া পদক্ষেপ করছে সেই রাজ্যের গেরুয়া প্রশাসন। (আরও পড়ুন: মণিপুরে ৬ সহকর্মীর ওপর গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী অসম রাইফেলসের এক কুকি জওয়ান)

আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে ‘শাহি বার্তা’ শুভেন্দুর, জবাবে কুণাল সামনে আনলেন ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব

উল্লেখ্য, অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে উৎসবে ভেসেছিল। তার ঠিক আগেই মুম্বইয়ের মীরা রোডে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রী রামের নামের পতাকা লাগানো থাকা যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। গাড়িতে ভাঙচুরের সময় দুষ্কৃতীরা ধর্মীয় স্লোগান দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসতেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। এদিকে অপরদিকের অভিযোগ, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার উপলক্ষে সেখানে বাজি ফাটানো হয়। সেই সময় স্থানীয়রা লাঠি নিয়ে চড়াও হয় ‘রামভক্তদের’ ওপর। সেখানে হামলা চালানো হয় গাড়ির ওপর। এক মহিলার মাথায় আঘাত লাগে এবং রক্তপাত হতে দেখা যায়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। এর পরের দিন সকালে এলাকায় পতাকা মিছিল করেন বহু মানুষ। সেখানেও পাথর ছোড়ার বিক্ষিপ্ত ঘটনা হয় বলে অভিযোগ। তবে পরিস্থিতি মোটের ওপর নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে পুলিশ জানায়। যদিও ঘটনার পর কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। পরে মঙ্গলবার এই বুলডোজার চালানো হয় মীরা রোড এলাকায়। এদিকে কেউ যাতে গুজবে কান না দেন তা নিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ধরনের উস্কানিমূলক ভিডিয়ো পোস্ট করতে বারণ করা হয়েছে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপের অ্যাডমিনকেও সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত কোনও কনটেন্ট ফরোয়ার্ড করতে বারণ করা হয়েছে।