MBBS Admission Scam: আরও ১ মামলায় CBI দিলেন জাস্টিস গাঙ্গুলি, ২ ঘণ্টার মধ্যে স্টে দিল ডিভিশন বেঞ্চ

MBBS-এর সংরক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে তাতে স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হবে।

সংক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ছাত্রী। রাজ্য এই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দিতে আবেদন করে। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, যে পুলিশ ১৯ দিনে শাহজাহান শেখকে ধরতে পারে না তার ওপর কী করে ভরসা করব? এই রাজ্য দুর্নীতির হাবে পরিণত হয়েছে। এই মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। বেলা আড়াইটের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে। সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি জানি, এই নির্দেশও চ্যালেঞ্জ হবে। কিন্তু আমি জানতে চাই আজ পর্যন্ত তদন্ত ঠেকাতে মোট কত টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার?’

সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায় শুনে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ছোটেন রাজ্যের আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা বলেন, এই মামলার রায়ের কপি এখনো হাতে পাইনি। তার আগেই তদন্ত সংক্রান্ত নথি সিবিআইকে হস্তান্তর করতে বলেছে। রায়ের কপি পেলে তা আদালতে জমা দিতে হবে। রাজ্যের আইনজীবীদের মৌখিক উল্লেখেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আপাতত এই মামলায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির পর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ইতিশা সরেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন ২০২৩ সালে কারচুপির মাধ্যমে জাতি প্রমাণপত্র জোগাড় করে ২৭ জন ডাক্তারিতে ভর্তি হয়েছেন। যার ফলে সুযোগ পাননি তিনি। এদের মধ্যে রয়েছেন ভৌমিক – সিংহ পদবীর প্রার্থীরাও।

আদালতের নির্দেশ নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘হেন কোনও জায়গা নেই যেখানে তৃণমূল চুরি করেনি। আর এখন তো পরিস্থিতি এত গুরুতর যে গোটা দেশ ছেড়ে সিবিআই – ইডিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই পড়ে থাকতে হবে। এই দুর্নীতির তদন্ত হলে দেখা যাবে তাতেও তৃণমূলের মাথারা জড়িত। তাই স্থগিতাদেশ আদায়ে এত তৎপরতা রাজ্যের আইনজীবীদের। আদালতের ওপর ভরসা আছে। চোরেরা জেলে যাবেই।’