Scheduled Caste judges: নিয়োগে ছাড়পত্র কেন্দ্রের, প্রথম ৩ তফসিলি বিচারপতি পাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট

বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পি বি ভারালেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কলেজিয়াম সুপারিশ করার পর এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়োগের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। এর ফলে শীর্ষ আদালতের ইতিহাসে প্রথমবার তফসিলি জাতি তিনজন বিচারপতি পেল শীর্ষ আদালত।

কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেছেন, ‘ভারতের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি ভারতের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শের পর কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পি বি ভারালেকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করার কথা জানিয়েছেন।’

বিচারপতি ভারালের নিয়োগের ফলে সুপ্রিম কোর্টে আবারও ভারতের প্রধান বিচারপতি-সহ ৩৪ জন বিচারপতি পেল। ২৫ ডিসেম্বর বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের অবসর গ্রহণের পর শীর্ষ আদালতে একজন বিচারপতির আসন খালি ছিল।

প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ১৯ জানুয়ারি বিচারপতি ভারালের পদোন্নতির সুপারিশ করে। তাতে উল্লেখ করে বিচারপতি বোম্বে হাইকোর্টের বিচারক হিসাবে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন যেখানে তিনি ২০০৮ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি বর্তমানে কর্মরত।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, ভূষণ আর গাভাই, সূর্যকান্ত এবং অনিরুদ্ধ বোসের সমন্বয়ে গঠিত কলেজিয়াম তার প্রস্তাবে বলে,’বিচারপতি ভারালের নাম সুপারিশ করার সময়, কলেজিয়াম এই বিষয়টি বিবেচনা করেছে যে হাইকোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে তিনি তফসিলি জাতির প্রবীণতম বিচারপতি এবং সারা দেশের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে তফসিলি জাতির একমাত্র প্রধান বিচারপতি।’

বিচারপতি ভারালের পদোন্নতির ফলে, সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের মতো বিচারপতি গাভাই এবং সি টি রবিকুমার-সহ তফসিলি জাতির তিনজন বিচারপতি থাকবেন।

বিচারপতি গাভাই ২০২৫ সালের মে মাসে প্রধান বিচারপতি হওয়ার তালিকায় রয়েছেন। বিচারপতি কে জি বালাকৃষ্ণনের পর বিচারপতি গাভাই হবেন দ্বিতীয় দলিত যিনি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হবেন। ২০২৫ সালের ৩মে বিচারপতি খান্নার অবসর গ্রহণের পর তিনি ২০২৫ সালের ২৩নভেম্বর পর্যন্ত ওই পদে থাকবেন।

১৯জানুয়ারি ভারালের নাম সুপারিশ করার সময়, কলেজিয়াম বিচারপতি কৌলের অবসর গ্রহণের পর যে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে তারই উল্লেখ করে বলে, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট প্রায় এক বছর ধরে চৌত্রিশজন বিচারপতির পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করেছে এবং তাই, ২০২৩ সালে ৫২,১৯১টি মামলা নিষ্পত্তি করার গৌরব অর্জন করতে পেরেছে। বিচারপতিদের কাজের চাপ যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা মাথায় রেখে আদালত যাতে সবসময় কাজ করে তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’