TMC-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই তাড়ানো হবে দল থেকে, হুঁশিয়ারি সেলিমের

তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে সেই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। বুধবার মালদা থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। দিন কয়েক আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কোচবিহার ছাত্র নেতা কৌশিক ঘোষকে। এসএফআই-এর জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। তাঁর বিরোধী অভিযোগ ছিল, তিনি তলায় তলায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। দল বিরোধী কাজের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ছাত্র সংগঠনের নেতাকে বহিষ্কারের পর সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জানিয়ে দিয়েছেন, শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রাখলে তারাও রেয়াত করবেন না। লোকসভা ভোটের আগে দলের রাজ্য সম্পাদকের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিন রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে মমতার মন্তব্যের পর ইন্ডিয়া জোট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। মমতা জানিয়ে দেন, রাজ্যে একলা চলো নীতিতেই লড়বে। বর্ধমান যাওয়ার পথে কংগ্রেসের নাম না করে বলেন, ‘বাংলার ব্যাপারে আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। অল ইন্ডিয়ায় কী করব না করব আফটার ইলেকশন ভাবব। ‘

তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস জানিয়ে দেয় রাহুল গান্ধী চান রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই লড়াই করতে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া ইন্ডিয়া জোট কল্পনা করা যায় না।’ এর পর বরফ কতটা গলবে তা সময় বলবে। 

পড়ুন। ‘মমতাকে ছাড়া ইন্ডিয়া জোট কল্পনা করা যায় না’, তড়িঘড়ি মাঠে নামল কংগ্রেস

ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে সিপিএমও। কিন্তু প্রথম থেকেই তারা রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছে। মালদায় সেলিমের বক্তব্যও তা আবারও স্পষ্ট করল। তাই রাজ্য়ে ইন্ডিয়া জোটের হাল যে বেশ জটিল তা জোট শরিক নেতাদের পরস্পরের প্রতি মন্তব্যেই স্পষ্ট। 

তবে প্রশ্ন উঠছে নেতাজির জন্মদিনে বাম ও তৃণমূল নেতাকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়া নিয়ে। গতকালই মালদহ শহরে নেতাজিকে একইসঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গিয়েছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। ইংরেজবাজার পৌরসভার উদ্যোগে নেতাজি মোড়ে অনুষ্ঠানে দুজনকে এক মঞ্চে দেখা যায়। সে প্রসঙ্গে সেলিমের দাবি নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, এতে কোনও রাজনীতি নেই।