আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনকে তিনবার টাকা পাঠানোর অভিযোগ, গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার

এক ৩২ বছর বয়সের ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশের অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড। মহারাষ্ট্রের নাসিক শহর থেকে এই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনিয়ার যুবক আইএসআইএস–কে সমর্থন করেছেন এবং অর্থ দান করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড এমন তথ্যপ্রমাণ পেয়েই এই যুবককে গ্রেফতার করেছে। রাত পোহালেই সাধারণতন্ত্র দিবস। সুতরাং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা দেশের মধ্যে ঘটে যাক সেটা চায় না কেউ। তার উপর মুম্বইতে জঙ্গি হামলার ঘটনা কেউ ভোলেনি। আজমল কাসভদের দল ঢুকে পড়েছিল। আর ব্যাপক হামলা চালিয়ে প্রাণ নিয়েছিল অনেকের।

এদিকে এই ইঞ্জিনিয়ারের এমন কাজের তথ্যপ্রমাণ পেয়েই তাঁকে গ্রেফতার করে অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড। এই যুবকের ইমপোর্ট–এক্সপোর্টের ব্যবসা আছে। মুম্বই থেকে ২০০ কিমি দূরে তাঁর ব্যবসারস্থল। এই ব্যবসার সুবাদে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। আর তারপর থেকেই সেখানে অর্থ দান করে থাকেন এই যুবক ব্যবসায়ী বলে তথ্য পেয়েছে অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড। আর তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ী যুবককে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। সেখানে তিনি স্বীকার করেছেন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের। এমনকী টাকা দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড (‌এটিএস)‌ সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ী যুবক তিনবার টাকা দিয়েছেন আইএসআইএসের তহবিলে। গোটা বিষয়টি সামনে আসায় এই যুবকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড এই ব্যবসায়ী যুবকের উপর নজর রেখেছিল। তাতেই হাতে আসে বিস্তর প্রমাণ। একাধিক দিন মনিটরিং করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন এটিএস–এর সদস্যরা দেখতে পেয়েছিল এই ব্যবসায়ী যুবক ক্রমাগত ওই বৈদেশিক এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যে আইএসআইএস–এর সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন:‌ সাধারণতন্ত্র দিবসের পরই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, জনসভা করবেন পূর্ব মেদিনীপুরে

এই সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করেছে অ্যান্টি টেরারিজম স্কোয়াড। এছাড়া এই ইঞ্জিনিয়ার তথা ব্যবসায়ী আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সকলের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং চুপচাপ থাকতেন। যিনি আগে সবার সঙ্গে মিশতেন তিনি হঠাৎ এমন আচরণ করার জেরে একটা সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু কেউ কিছু বুঝতে পারেননি। ততক্ষণে বেড়ে গিয়েছিল আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ এবং টাকা পাঠানো শুরু হয়। এবার তাঁকে গ্রেফতার করার পর তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল, সিম কার্ড, পেন ড্রাইভ এবং বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।