দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রাথমিক স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে কয়েক কোটির দুর্নীতির অভিযোগ

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তারই মধ্যে এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রে করে প্রায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। শিক্ষকদের একাংশ এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। তাদের বক্তব্য, একাধিক চক্রের মাধ্যমে এই দুর্নীতি করা হচ্ছে। এই অভিযোগে বুধবার ডায়মন্ডহারবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: আবারও দুর্নীতির অভিযোগ বঙ্গে, এবার প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

সাধারণত স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে প্রতিবছরই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই কারণেই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে ২০০৯ সাল থেকে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষা দফতর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। জেলার সাব ডিভিশনের জন্য ১ লক্ষ টাকা ও সার্কেলের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। শুধু তাই নয়, এই বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ১১ জনের একটি কমিটিও গঠন করে শিক্ষা দফতর। এই কমিটিতে রয়েছে ২ জন জেলার কো-অর্ডিনেটর এবং ৯ জন সদস্য। 

কিন্তু, তার পরেও জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার ডায়মন্ডহারবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ, জেলায় মোট ৫১ টি চক্র রয়েছে। সেই চক্র বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও স্কুলগুলির কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করে। তাদের দাবি, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয় সেই টাকায় ভালোভাবে ক্রীড়া অনুষ্ঠান সংগঠিত করা যায়। কিন্তু জোরপূর্বক ভয় দেখিয়ে শিক্ষক ও স্কুলের কাছ থেকে কোনও নিয়ম ছাড়াই এইভাবে টাকা তোলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে যে ১১ জনের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে সেই কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে কমিটিকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ধরনের বিষয় তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।