CPIM News: বাজার খারাপ দেখে যারা চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা দলে ফিরে আসুন, আহ্বান সেলিমের

৩৪ বছর যে দলটা ক্ষমতায় ছিল সেই দলে এখন কার্যত পার্টি অফিস খোলার লোক পাওয়া যায় না। অনেকেই দল থেকে  মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এমনটাই বলেন অনেকে। তবে এবার সেই বসে যাওয়া বামকর্মীদের ফের দলে শামিল হওয়ার আবেদন জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

প্রয়াত নেত্রী মহারানি কোঙারের স্মরণে আয়োজিত সভায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মেমারি শহরে বক্তব্য রাখেন মহম্মদ সেলিম। সেখানেই তিনি বসে যাওয়া বাম কর্মীদের ফের দলের কাজে শামিল হওয়ার জন্য আবেদন করেন।

সেই সঙ্গেই তৃণমূল ও বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বাড়ির জন্য টাকা জোগাড় করতে পারছেন না। আর টাকা রাখার জন্য তৃণমূল নেতারা বাড়ি তৈরি করছেন। পরিবর্তনের নামে পঞ্চায়েত, পুরসভায় লুঠপাট করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে এক হতে হবে।

এদিকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া দলীয় কর্মীদের জন্য় তাঁর আহ্বান, যাঁরা এখনও মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন, চলে গিয়েছিলেন বাজার খারাপ দেখে, সবাইকে জড়ো করতে হবে। তাঁরাও অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝবেন। তাঁরা ফিরছেন।

সেলিম বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে থাকলে চলবে না। দুর্নীতিকে আড়াল করতেই সাম্প্রদায়িকতাকে খাড়া করা হয়। 

এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাম জমানায় মেমারি ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। মেমারি থেকে শুরু করে বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায় বামেদের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। কৃষকদের মধ্য়ে বামেদের অত্য়ন্ত শক্তিশালী প্রভাব ছিল। হরেকৃষ্ণ কোঙার সেই সময় বামেদের কৃষকসভাকে এলাকায় শক্ত ভিতের উপর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেসব সোনালি দিন আজ অতীত। এবার বসে যাওয়া বামকর্মীদের দলে ফেরত আসার আহ্বান জানালেন খোদ মহম্মদ সেলিম। 

সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে ইন্ডিয়া জোটের কার্যত দফরফা। এদিকে সেই ইন্ডিয়া জোটে বামেরাও রয়েছেন। কিন্তু বাংলায় শেষ পর্যন্ত জোট কতটা হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ ইতিমধ্য়েই কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ফাটল ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জোট তো দূরের কথা