‘কারোর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে শুনলে আমার বুক ব্যথা করে’

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। আমার বয়স যখন ১০, তখন বাবা মারা যান হার্ট অ্যাটাকে। এজন্য আমার সবসময়ই হার্ট অ্যাটাক নিয়ে আতংক কাজ করে। আমি ইন্টারনেটে পড়াশোনা করি বিষয়টি নিয়ে। কেন হার্ট অ্যাটাক হয়, কীভাবে হয়, কী করলে প্রতিরোধ করা যায় এগুলো পড়ি। সমস্যা হচ্ছে, আজকাল কারোর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে শুনলে আমার বুক ব্যথা করে। ঘাম হতে থাকে, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। মনে হয় আমারও হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। এই সমস্যা কীভাবে দূর করবো?

উত্তর: আপনার মনে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে তৈরি হওয়া অহেতুক আতংক বা প্যানিক দূর করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার আগে আপনাকে সুখবর দিচ্ছি যে, আপনি আপনার সমস্যা নৈপুণ্যের সাথে মোকাবিলা করতে পারবেন। কারণ প্রথমত আপনি আপনার সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছেন, এবং দ্বিতীয়ত আপনি সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছেন। আমাদের মনোজগতে তৈরি হওয়া যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করার প্রথম পদক্ষেপ হলো সমস্যাকে সমস্যা হিসেবে না দেখে নিজের স্বাভাবিক একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখতে হবে এবং তাকে আপন করে নিতে হবে। আমরা আমাদের তথাকথিত নেতিবাচক কোনও বৈশিষ্ট্যের সাথে যুদ্ধ করে কখনোই তাকে পরাস্ত করতে পারবো না। তাকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আপন মনে করতে পারলেই তার নেতিবাচক প্রভাব কমে যাবে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে, এটার প্রভাব থেকে আপনি চাইলে মুক্তি পাবেন না, না চাইলেই পাবেন। আপনার এই সমস্যাকে মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিদিং এক্সারসাইজ এবং রিভার্স মেডিটেশন আপনাকে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১১ বছর। এমনিতে ভালো ছাত্রী, কিন্তু কিছু বিষয়ে একদম অ্যাবনরমাল আচরণ করে। যেমন ওকে প্রাইভেসি সম্পর্কে শেখাতে পারিনি। সবার সামনে কাপড় খুলে টয়লেটে চলে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ওকে বিষয়টি বোঝাতে পারছি না। আবার বাচ্চাদের সাথে মারামারি করে। ওর সমবয়সী না, অনেক ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলে আর মারামারি করে। ওর মানসিক বিকাশ হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে। কি করবো?

উত্তর: আপনার মেয়ের বুদ্ধিবৃত্তি স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষেত্রবিশেষে বিলম্বিত হতে পারে। যেমন তার ফ্রন্টাল লোব বা অগ্রমস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশ না হওয়ায় ফ্রন্টাল ডিজ-ইনহিবিশনের কারণে সে এখনও প্রাইভেসি সম্পর্কে শিখতে পারছে না। এসব কারণে সে সম্ভবত তার সমবয়সীদের সাথে খেলাধুলা না করে ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলে বা মারামারি করে। সে যেহেতু ভালো ছাত্রী, তার সামগ্রিক বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক মাত্রাসীমার মধ্যেই রয়েছে। ধৈর্য্যসহকারে শেখাতে পারলে তার মস্তিষ্কের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। আপনি প্রয়োজনে শিশু মনোবিকাশ বা চাইল্ড নিউরোডেভেলপমেন্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কারোর পরামর্শ নিতে পারেন। নিউরনাল ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।