বহরমপুর স্টেডিয়াম মিলছে না রাহুল গান্ধীর, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে জটিলতা চরমে

ইন্ডিয়া জোট আপাতত গুবলেট অবস্থায় রয়েছে। কারণ বাংলা এবং পঞ্জাব রাজ্য একলা চলার পথ ঘোষণা করেছে। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না। আবার নীতীশ কুমার গোপনে খেলা শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এই আবহে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ বাংলায় আসা নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে কিছু জানানো হয়নি আগে থেকে। তাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এবার নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বহরমপুর অধীরের শক্তঘাঁটি। এমনটাই কংগ্রেসের নেতারা বলে থাকেন। অথচ সেখানে থাকার জন্য স্টেডিয়ামই পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী বলে অভিযোগ। সুতরাং জোট এখনও পর্যন্ত ঘোঁট বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর দেখা হওয়ার। সেটা হবে কিনা কোনও নিশ্চয়তা নেই। আসলে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায়’ ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে আসছে। আর এখানেই থাকার কথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর। আবার ঠিক একদিন আগেই ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশাসনিক সভা রয়েছে বহরমপুরে। সুতরাং দুই নেতা–নেত্রী এভাবেই কাছাকাছি আসতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা আছে বহরমপুর স্টেডিয়ামে। তাই সেখানে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। আর রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের গোটা টিমেরও বহরমপুর স্টেডিয়ামেই থাকার কথা ছিল। সেটা হচ্ছে না।

অন্যদিকে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সাংসদ অধীর চৌধুরী তৃণমূল অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, জেলা প্রশাসনকে রাহুল গান্ধীর সভা করার কথা আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু জেলাশাসক শুক্রবার কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে বহরমপুর স্টেডিয়াম পাওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে নিকটবর্তী এফইউসি’‌র মাঠ রাহুল গান্ধীর কর্মসূচির জন্য কংগ্রেসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। পাল্টা কংগ্রেসের দাবি, এফইউসি মাঠে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর গোটা টিমের রাতে থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এই দড়ি টানাটানির মধ্যে কংগ্রেস আদৌ নিজেদের ঘাঁটি বহরমপুরকে বলতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌তাঁদের জন্য ২ মিনিট নীরবতা….‌’‌, মোদী–ম্যাক্রোঁর ভিডিয়ো পোস্ট করে খোঁচা মহুয়ার

এছাড়া এই পরিস্থিতিতে জোট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আদৌ কংগ্রেস–তৃণমূলের মধ্যে জোট গড়ে উঠবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের দিকেই আঙুল তুলছে কংগ্রেস শিবির। এই বিষয়ে অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘হয়তো উপর থেকে রাজ্য সরকারের বার্তা আছে, রাহুল গান্ধীর যাত্রাপথকে খুব মসৃণ হতে দেওয়া যাবে না। আমরা চেয়েছিলাম সহযোগিতা। কারণ জোট করতে গেলে সেটা ভিতর থেকে আসতে হয়। তবেই বিষয়টি সম্ভব হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা সহযোগিতা চেয়েছিলাম, তা থেকে আমরা বঞ্চিত।’ অধীরের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। রাহুলবাবু আসবেন কি আসবেন না সেটা তাঁর ব্যাপার। রাজ্য সরকারের এই প্রশাসনিক কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিতই ছিল।’‌