Karnataka village tense: ১০৮ ফুট খুটিতে লাগানো হনুমান পতাকা সরাতে গিয়ে উত্তেজনা কর্নাটকের গ্রামে

কর্নাটকের মাণ্ড্য জেলার মান্ডিয়া তালুকের কেরেগোডু গ্রামে রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ১০৮ ফুট হনুমান পতাকা উত্তোলন করা হয়। রবিরার সেই পাতাকা সরাতে গিয়ে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ল প্রশাসন। শনিবার থেকেই সমস্যা শুরু হয় যখন গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামবাসীদের পতাকাটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। গ্রামবাসীরা পতাকাটি সরাতে অস্বীকার করে। যুক্তি দেয় যে অন্যান্য সম্প্রদায়ও প্রকাশ্য স্থানে পতাকা উত্তোলন করে। তবে তারা কেন পারবে না। তবে সরকারি নির্দেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসন পতাকা অপসারণের চেষ্টা করতেই ক্ষুব্ধ হয়ে হিন্দু সংগঠন, বিজেপি নেতা, কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ চলাকালীন বিরোধী নেতা আর অশোক, প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অশ্বত্থনারায়ণ এবং চালভাদি নারায়ণস্বামী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে পুলিশ আটক করে।

রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ পুলিশের সঙ্গে আধিকারিকরা পতাকা সরাতে গ্রামে যান। সেই কয়েকশ গ্রামবাসী পতাকা খুঁটির কাছে জড়ো হয়ে আপত্তি জানাতে থাকে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এক পুলিশ আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েত প্রথমে জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনও ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল। তবে গ্রামবাসী ও হিন্দু কর্মীরা হনুমান পতাকা উত্তোলন করেন।’

কেরেগোডু গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি টি এস নবীন কুমার বলেন, ‘কয়েকজন গ্রামবাসী হনুমান পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। যার পরে মান্ডিয়া জেলাশাসক গ্রাম পঞ্চায়েতকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র জাতীয় ও কন্নড় পতাকা উত্তোলনের জন্য জোরাজুরি সত্ত্বেও, গ্রামবাসীরা বৈঠকে শর্ত মেনে নিয়েও বেআইনিভাবে হনুমান পতাকা উত্তোলন করে। বৈঠকে ২২ জনের মধ্যে ২০জন সদস্য পতাকা উত্তোলনের পক্ষে সমর্থন জানান।’

উত্তেজনা এড়াতে জেলা প্রশাসন গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে, হনুমান পতাকা উত্তোলন এবং শ্রীরামের ফ্লেক্স ব্যানার লাগানোর অনুমতি চেয়ে শত শত গ্রামবাসী পতাকা খুঁটির সামনে তাদের ধর্নায় অংশ নেয়।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া রবিবার মান্ডিয়ার কেরাগোডু গ্রামে ১০৮ ফুট খুঁটি থেকে হনুমান পতাকা নামানোর কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপকে ন্যায়সঙ্গত করে বলেছেন। এর পরিবর্তে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিত ছিল বলেন তিনি মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পতাকার পরিবর্তে গেরুয়া পতাকা ওড়ানো ঠিক নয়। তাঁদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা উচিত ছিল।’

রাজ্য বিজেপি পতাকা অপসারণের নিন্দা করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘সাংস্কৃতিক উদযাপন’ দমন করার অভিযোগ করেছে। এই ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিজেপি এই ঘটনাকে ঘিরে অস্থিরতার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছে।