Labour rescued: মহারাষ্ট্রে ১৭ আদিবাসী শ্রমিককে জোর করে আটকে কাজ করানোর অভিযোগ, উদ্ধার

ভালো পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। কিন্তু, সেখানে আটকে রেখে জোর করে কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মজুরি ছাড়াই। এরকম ১৭ জন আদিবাসীকে উদ্ধার করল পুলিশ। মহারাষ্ট্রের বিড় জেলায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ওই আদিবাসী শ্রমিকদের উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, তারা সকলেই মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার পাপেট ও রুরাভান গ্রামের বাসিন্দা। 

আরও পড়ুন: বাংলার ১৩ জন শ্রমিক আটকে দুবাইতে, বিদেশমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ সুকান্ত

শ্রমিকদের আটকে রেখে কাজ করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তাদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে। জানা যায়, শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা সাগরের জেলাশাসক দীপক আর্যের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন জেলাশাসক। তিনি আদিবাসী শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য একটি টিম গঠন করেন। এরপর মহারাষ্ট্র পুলিশ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার সহযোগিতায় শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত ১৭ জন শ্রমিককে সফলভাবে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার পর তাদের নিজস্ব গ্রামে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। 

জেলাশাসক দীপক আর্য জানিয়েছেন, শাহগড়ের পাপেট গ্রামের বাসিন্দা আনারাত আদিবাসী এবং লক্ষ্মণ আদিবাসী নামে দু’জন তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারা ব্যাখ্যা করেছেন, কীভাবে তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিড় জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের আখের জমিতে কাজ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের জানানো হয়েছিল পুরুষ ও মহিলাদের প্রতি টনে ৬০০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে। তাছাড়া সেখানে বসবাসের উপযুক্ত ব্যবস্থা ও খাবার দেওয়ার কথা ছিল। সেখানে তারা একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু কয়েকদিন পর ঠিকাদারের কাছে খাবারের টাকা চাইলে ঠিকাদার তাদের ৪-৫ দিনের খাবার দেন। প্রতিদিন তাদের দিয়ে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা কাজ করানো হতো বলে অভিযোগ।

এদিকে, তাদের কাজে নিয়ে আসার এক মাস তারা ঠিকাদারের কাছে টাকা চান।  কিন্তু, ঠিকাদার তাদের জানিয়ে দেন আগামী মাসে টাকা পরিশোধ করা হবে। এইভাবে দুমাস কেটে যাওয়ার পরেও শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান ঠিকাদার। ঘটনায় আদিবাসী শ্রমিকরা জমির মালিকের কাছে টাকা চাইতে যান। কিন্তু, সেখানে জমির মালিক তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেয়। এমনকী দুজন মহিলা শ্রমিককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।