শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভের সৃষ্টিকর্তা। ৯৯ বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিডিআরআই) প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ নিত্য আনন্দ।
বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ অসুস্থতার পরে শনিবার SGPGIMS-এ মারা যান তিনি বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মহান কৃতিত্বের জন্য পদ্মশ্রী সম্মানও পেয়েছেন তিনি। নিত্য আনন্দের তিন সন্তান।
আরও পড়ুন: অমৃতের মতো মুসুর ডাল! এর গুণে কী কী রোগ বিদায় নেবে জানলে চমকে যাবেন
তার মধ্যে দু’জনই চিকিৎসক। মেয়ে ডঃ সোনিয়া নিত্যানন্দ কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সেমবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে এই মহান বিজ্ঞানীর বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: খালি পেটে আদার রস পান করার উপকারিতা কী জানেন? জানলে চমকে যাবেন
পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক ডাঃ নিত্য আনন্দের দুই ছেলে নীরজ নিত্যানন্দ এবং ডাঃ নবীন নিত্য আনন্দ এবং মেয়ে ডঃ সোনিয়া নিত্যানন্দ, যিনি কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কেজিএমইউ) উপাচার্য। সোমবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: এই ৫ লক্ষণ দেখলে অবশ্যই সাবধান হন! না হলে বিয়ে ভেঙে যেতে পারে
এক জনপ্রিয় মেডিকেল রসায়নবিদ ছিলেন তিনি। ১৯৫১ সালে CDRI প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত এর পরিচালক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ৪০০ টিরও বেশি গবেষণা পত্র এবং ১৩০ রও বেশি পেটেন্ট প্রকাশ করেছেন এবং মোট ১০০ পিএইচডি শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধান করেছেন।
আরও পড়ুন: শীতে জয়েন্টে ব্যথা ও বাত নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে? জেনে নিন কিছু প্রাকৃতিক উপায়
তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত কন্যা ডাঃ সোনিয়া নিত্যানন্দ জানান, ‘আমার বাবা ‘সেন্টক্রোম্যান’ ওরফে ‘সহেলি’র পিছনে মস্তিষ্ক ছিলেন, বিশ্বের প্রথম নন-স্টেরয়েডাল, নন-হরমোনাল, সপ্তাহে একবার মৌখিক গর্ভনিরোধক এই ওষুধ। এটি ২০১৬ সাল থেকে ভারতের জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের উপহারে নাকি এই ফুল দিলে বিবাহ জীবন সুখের হয়! ভালো করে জেনে নিন নিয়ম
এই গর্ভনিরোধক ওষুধটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশ্ববাজারেও এর তুমুল ব্যবহার শুরু হয়েছে। নিরাপদ গর্ভনিরোধক হিসাবে তুমুল ব্যবহৃত হচ্ছে এই ওষুধ। লখনউতেও প্রচলিত হয়েছে এই নিরাপদ ওষুধ। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী প্রথম ‘সহেলি’র উদ্বোধন করেন।