DA Protest Latest Update: আজ অফিসে গিয়েই প্রতিবাদ, ডিএ আন্দোলনকে নবান্নের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা যৌথ মঞ্চের

আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ডিএ আন্দোলনকারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তবে গতকাল একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে মঞ্চের নেতারা জানিয়ে দেন, আপাতত ধর্মঘট করা হচ্ছে না। তবে কর্মসূচি প্রত্যাহার নয়, বরং তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কথা ভেবেই এই কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই বিষয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আগামী মার্চ মাসে লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র দাবির মাঝেই নিয়ম বদল, কাটা যাবে এই সরকারি কর্মীদের পেনশন-গ্র্যাচুইটি)

আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে কথা দিয়েছিলেন মন্ত্রী, রাখবে রাজ্য? SC শুনানি ঘনিয়ে আসতেই উঠল প্রশ্ন

প্রসঙ্গত, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। আর আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তা সত্ত্বেও বকেয়া ডিএ প্রদান-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল যৌথ মঞ্চ। তবে আপাতত জানানো হল, ফেব্রুয়ারিতে কোনও ধর্মঘট পালিত হবে না। এদিকে মার্চ-এপ্রিলে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেলে কীভাবে ধর্মঘট হবে? এই বিষয়ে নিয়ে ভাস্কর ঘোষ দাবি করেন, মার্চে যখন ধর্মঘট শুরু করা হবে, তখন খুব সম্ভবত ভোট শুরু হবে না। আর ভোটের সময় ধর্মঘটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানানো হবে।

এদিকে ধর্মঘট কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হলেও প্রতিবাদের পথ থেকে সরে আসছেন না সরকারি কর্মীরা। এই আবহে আজকে ডিএ আন্দোলনকারীরা নিজেদের অফিসে যাবেন কালো ব্যাজ পরে। এদিকে অনশনরত ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চ নবান্নের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় কি না, সেই বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে ডিএ আন্দোলনকারীদের। এর আগেও আদালতের অনুমতি নিয়ে নবান্নের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

উল্লেখ্য, আপাতত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১০ শতাংশ হারে ডিএ পান। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের চার শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছে। সেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪৬ শতাংশ হারে ডিএ পান। জানুয়ারি থেকে তাঁদের চার শতাংশ বাড়ানো হতে পারে বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এছাড়া অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ, রাজ্য সরকারের সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করার দাবিতেও সরব তারা।