রামমন্দিরে যাওয়া হচ্ছে না বঙ্গ–বিজেপির বিধায়কদের, নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী

তাল তুলেছিলেন বঙ্গ–বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে রামমন্দিরে যাবেন। আর একদিন কাটিয়েই ফিরে আসবেন। দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এখন তীরে এসে তরি ডুবে গেল। হ্যাঁ, এই তাল তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিষেধ করেছেন বলে সূত্রের খবর। আর তাই সেই নির্দেশ মেনে অযোধ্যায় রামমন্দির দেখতে আপাতত যাওয়া হচ্ছে না বঙ্গ–বিজেপির বিধায়কদের। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় গিয়ে ১১ তারিখ ফিরে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা রামলালার দর্শন করতে যাবেন অযোধ্যায় বলে পরিকল্পনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা এখন আর হচ্ছে না বলেই বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর।

এদিকে গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। তার পর ঠিক হয়, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশের নানা প্রান্তের বিজেপি নেতা–কর্মীরা পালা করে রামমন্দির দেখতে যাবেন। এখন অযোধ্যায় রোজই ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষজন এখানে ভিড় করছেন রোজ। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরই অযোধ্যায় মানুষের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে বড় দুর্ঘটনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে যান অযোধ্যায়। ট্রেন এবং সড়কপথে অযোধ্যায় যাওয়া বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

অন্যদিকে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে এখন আবার ভিড় হচ্ছে অযোধ্যায়। এই পরিস্থিতি দেখে দলের নেতা–কর্মীদের আপাতত অযোধ্যায় আসার কর্মসূচি বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সরাসরি প্রত্যেক রাজ্যের শীর্ষনেতাদের ফোন করে আপাতত তাঁদের অযোধ্যা সফর বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে আজ মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের সকলের রামমন্দির দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দল আমাদের জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আপাতত দলীয় নেতা–কর্মীদের অযোধ্যা যেতে নিষেধ করেছেন। তাই আমাদের অযোধ্যা সফর বাতিল করা হয়েছে। দল আবার নির্দেশ দিলে আমরা রামলালাকে দেখতে যাব।’

আরও পড়ুন:‌ কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী নিখোঁজ হন, রহস্যমৃত্যুর পর দেহ মিলল বর্ধমানে

এছাড়া এবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। তার আগেই অযোধ্যা থেকে ঘুরে আসতে চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তাই মনখারাপ হয়ে পড়েছে অনেক বিধায়কের বলে সূত্রের খবর। সুতরাং পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছে। অযোধ্যায় যে ভিড় হচ্ছে সেখানে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিয়ম করে সেখানে যেতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। সোমবারও লখনউ থেকে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন তিনি। জনতার চাপ কমলে তবেই বিজেপি নেতৃত্বকে অযোধ্যায় পা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।