Justice Soumen Sen: ‘আমরা কতদিন লড়ব?’ বিচারপতি সেন মামলা ছাড়তেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা

আপার প্রাইমারি নিয়োগ জন্য আজই নির্দেশ দিতে পারতেন বিচারপতি সৌমেন সেন। কিন্তু তিনি মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় হতাশায় ভেভে পড়লেন চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার হাইকোর্ট চত্ত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের হাইকোর্ট চত্ত্বর থেকে সরাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। 

প্রসঙ্গত, বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা ছিল। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সেই সব মামলা সরিয়ে দেন সৌমেন সেনের এজলাস থেকে। যেহেতু তিনি আপার প্রাইমারি মামলা শুনছিলেন, তাই ওই মামলাটি সৌমেন সেনের বেঞ্চে বিচারধীন ছিল।  সেখানেই হাজির ছিল সব পক্ষ। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। তিনি বলেন  ‘বিচারপতিদের অধিকার রায়দানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিশেষ কোনও মামলায় আমাদের কারও কোনও উৎসাহ নেই। কিন্তু যে কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতেই পারেন। যা ঘটেছে তাতে আদালত অপমানিত হয়েছে।’ 

পড়ুন। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাস থেকে সরল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা

আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, ‘আমি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু বলতে চাই।’ তাঁকে থামিয়ে বিচারপতি সেন বলেন, ‘দয়া করে কিছু বলবেন না। প্রত্যেকের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। ব্যক্তিবিশেষকে নিয়ে আলোচনায় আমি অভ্যস্থ নই। আমি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালাম। এনাফ ইজ় এনাফ!’

পড়ুন। দুই বিচারপতির দড়ি টানাটানি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বিচারপতি সৌমেন সেন, বললেন..

এর পর হতাশায় ভেঙে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থী সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, সরকার বা বিরোধী দল কেন বারবার আমাদের নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের নিয়ে রাজনীতি করার কোনও জায়গাই নেই। আমাদের এখন মরণ বাঁচন সমস্যা। আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমরা কবে বিচার পাব? ১০ বছর ধরে লড়াই চলছে। আমাদের বুক ফেঁটে যাচ্ছে।’

বিকাল ৪টে নাগাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা। আদালত চত্বরেই পুলিশের সঙ্গে ধ্বাস্তিধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তার। এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘সব পক্ষের কথা শোনা হয়ে গিয়েছিল। দুই বিচারপতি দ্বন্দ্বের জন্য তিনি সরে দাঁড়ালেন। আমাদের অর্ডারটা হল। আবার কোন বেঞ্চে যাবে? আমরা কতদিন লড়াই করব?’