Mamata Banerjee in Balurghat: বালুরঘাটের স্কুলগুলিতে বুধবার ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কারণটা কী?

বুধবার বালুরঘাটের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীরা। যেহেতু তাদের বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যাবে। তাই তাদের বুধবার ছুটি দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এমনিতেই বৃহস্পতিবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অধিকাংশ স্কুলে ছুটি থাকবে। তাই একদিন আগেই ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন তিনি বলেন, ‘কন্যশ্রীর বন্ধুরা আছে না চলে গিয়েছে। স্কুল আছে তো কাল সকালে? কালকে কী বার, বুধবার। কাল তোমাদের কোনও পরীক্ষা নেই তো? তোমাদের স্কুলে কি ছুটি পড়েছে? মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্য। মাধ্যমিকের জন্য ছুটি পড়ছে কবে থেকে। কাল থেকে? বৃহস্পতিবার থেকে? তাহলে কালকে বুধবার, যে সব স্কুলগুলো আজকে জয়েন করেছে, বালুরঘাটের সমস্ত স্কুলকে কাল ছুটি দিয়ে দিন, যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরতে অনেকটা যেতে হবে। বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে তোমরা কাল থেকেই ছুটি পেয়ে গেলে।’ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

পড়ুন। ‘আমি লড়ব,গড়ব, মানুষের জন্য রক্ত দেব, পালাব না!’ রায়গঞ্জে বললেন মমতা

আইএএস-আইপিএস পরীক্ষায় বসার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া কথা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘বিনামূল্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তোমাদের। আইএএস – আইপিএস হতে হবে তোমাদের। আমরা সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের জন্য মেধাশ্রী বাবদ ৩ লাখ টাকা করে দিয়েছি। ’

এনআরসি প্রসঙ্গ

বালুরঘাটেও এনআরসি প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মামতা বলেন, ‘এনআরসি আমরা করতে দেব না। আমরা রুখবই। বিএসএফ সীমান্তে অত্যাচার করছে। কার্ড বিলি করছে। বলেছে এই কার্ড নিতে হবে। আমি ডিএমকে বলেছি, যারা এপার থেকে ওপারে কাজ করতে যায়, তাদের ইনার কার্ড পারমিট আপনি দেবেন।  কারণ বিএসএফ-এর কার্ড নিলে এপার থেকে ভাগিয়ে দেবে। ওপার থেকে ভাগিয়ে দেবে মানুষকে থাকতে দেবে না।’

পরিচয়পত্র নয়, সীমান্তে গেট পাস দিচ্ছে BSF, ব্যাখ্যা করে বোঝালেন DIG

এই কার্ড প্রসঙ্গে  বিএসএফের ডিআইজি বলেন, ‘পরিচয়পত্র দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার বিএসএফের নেই। বিএসএফ একটি গেট পাস দিচ্ছে। ভারত – বাংলাদেশ দীর্ঘ সীমান্তে অনেকেরই জমি কাটাতারের ওপারে রয়েছে। তাঁরা সেখানে চাষ আবাদ করতে যান। এতদিন আধার কার্ডের নম্বর নথিভুক্ত করে কাটাতারের বেড়া পার করতে দেওয়া হত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যায় বহু বাংলাদেশি পাচারকারী ভারতীয় আধার কার্ড বানিয়ে ফেলেছে। তাদের মাধ্যমে চলছে সীমান্তের ওপারে পাচার। সেই পাচারকারীদের রুখতে কাঁটাতারের ওপারে জমির বৈধ মালিকদের একটি গেট পাস দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনও পরিচয়পত্র নয়। এতে স্থানীয়দের যেমন হয়রানি কমবে তেমনই অনুপ্রবেশকারী ও পাচারকারীদের রোখাও সহজ হবে।’