Rahul Gandhi on Nitish Kumar: রাজভবনে শাল ফেলে এসেছিলেন নীতীশ, তারপর… মজা করে গল্প বললেন রাহুল

লোকসভা ভোটের মুখে ডিগবাজি খেলেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী। ফের এনডিএতে ভিড়ে গেল নীতীশের দল জেডিইউ। এদিকে নীতীশ কুমারের এই এনডিএতে চলে যাওয়ার ঘটনাকে রীতিমতো কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

পূর্ণিয়াতে ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রা। সেখান থেকেই নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল বলেন, বিহারে সামাজিক ন্য়ায়ের দাবিতে এই মহাজোট লড়াই করবে। সেখানে নীতীশ কুমারকে আমাদের দরকার নেই। তাঁকে আমাদের আর প্রয়োজনই নেই।

এদিকে বিহারে এক অন্যরকম সমীকরণ তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের আওতায় রয়েছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গেই রয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি ও বামদলগুলি। আর বিহারের শাসকদল চলে গিয়েছে এনডিএতে।

এদিকে বিহারে গিয়ে নীতীশ কুমারকে নিয়ে রসিকতাও করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমি একটি জোকস বলতে পারি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে আপনাদের মুখ্য়মন্ত্রী বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এরপর তিনি দেখেন শালটা তিনি ফেলে এসেছেন রাজ্যপালের বাড়িতে। এরপর তিনি সেই শাল ফেরত আনতে তিনি রাজ্যপালের বাড়িতে যান। এদিকে নীতীশকে ফের সেখানে দেখে তো হতবাক রাজ্যপাল। তিনি বলেন, এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন? রসিকতা করলেন রাহুল গান্ধী। আসলে নীতীশের বার বার শিবিরবদল নিয়ে এভাবেই জোকস বলেন রাহুল।

এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কটাক্ষ করা হয়েছে নীতীশ কুমারের এই ডিগবাজি কাণ্ডকে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নীতীশ কুমার তো এবার গিরগিটিকেও হার মানাবেন।

পরিসংখ্যান বলছে গত ১১ বছরে তিনি অন্তত চারবার শিবির বদল করেছেন। অনেকে আবার তাঁকে পালটুরাম বলেও কটাক্ষ করেন।

রাহুল গান্ধী বলেন, আপনাদের এটা বুঝতে হবে যে কংগ্রেস ও আরজেডি যখন জাতিগত জনগণনার ব্যাপারে নিশ্চিক করছিল তখনই ফাঁদে পড়ে যান নীতীশ। আর বিজেপি তখন সেখান থেকে বের হওয়া পথ করে দেয়। এরপর রাহুল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন নীতীশজিকে কাস্ট সার্ভে করতে হবে। এখানে আমরা কোনও ছাড় দেব না।

এদিকে নীতীশের এনডিএতে ফিরে যাওয়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের। তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেছেন, ‘নীতীশ কুমার যা করেছেন তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলা। এর যোগ্য জবাব দেবে জনগণ।’ এদিকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এই গোটা ঘটনার জন্য বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নীতীশকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে বিজেপি মানুষের মতের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। বিহারের মানুষের অপমান করেছে বিজেপি।’ এদিকে ডিএমকে-র তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘নীতীশ এতদিন ধরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল জোটের ওপর। জোটের স্বার্থে এতদিন ধরে সেটা সহ্য করছিল ডিএমকে। তবে নীতীশ চলে যাওয়ায় বিরোধী জোটের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।’ এদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও দাবি করেছে যে নীতীশের বিদায়ে ইন্ডিয়া জোট দুর্বল হয়ে পড়বে না। এই সবের মাঝেই আরজেডি প্রধান লালু যাদবের বড় ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব লালুকে ‘গিরগিটি রত্ন’ দেওয়ার কথা বলেন।