Bharat Jodo Nyay Yatra: রাহুল গান্ধীকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য একটু জায়গা দিচ্ছে না মমতার সরকার: অধীররঞ্জন

পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় প্রশাসনিক বাধা আসবে কল্পনা করিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর দাবি, ওপর মহলের চাপেই রাহুলের যাত্রায় অসহযোগিতা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

এদিন অধীরবাবু বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর যাত্রার প্রথম দিন থেকে প্রশাসনিক সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। আমরা আশা করিনি যে পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীকে এই ধরণের অসহযোগিতার মধ্যে পড়তে হবে। বাংলা অতিথিবৎসল। আমরা বাবা মায়ের কাছে এই আচরণ শিখিনি’।

অধীরবাবু মনে করান, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য রাহুল গান্ধীকে লোকসভার সদস্যপদ হারাতে হয়েছিল। এখনও তিনি তাঁর বাসভবন ফেরত পাননি। পশ্চিমবঙ্গেও রাহুল গান্ধী যেখানে থাকতে চাইছেন সেখানে থাকতে পারছেন না। অন্য পাঁচ জন যে সুযোগ পেয়ে থাকে সেটুকুই তাঁকে দেওয়া হোক। মালদায় একটা সরকারি ভবনে রাহুল গান্ধীকে মধ্যাহ্নভোজ করাব ভেবেছিলাম। প্রশাসনের অনুমতি পাইনি। সরকারি আধিকারিকরা বলছেন ওপর তলা থেকে নিষেধ করেছে। আমরা অনেক খুঁজে একটা জায়গা বার করেছি। তার পর বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না। তার বদলে যে মাঠ দিয়েছে সেখানে গাড়ি ঢুকবে না। বলছে ভেঙে নেও। পরে গেঁছে দিও। রাহুল গান্ধীর পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে। তাঁকে আইনের ফাঁসে কোথাও বক্তৃতা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। বাংলায় এটা আমার কাছে কাম্য ছিল না। জানি না, কী কারণে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এই দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে’।

পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ঢোকার আগের দিনই কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যে আসন সমঝোতার সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন মমতা। তার পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলিকে তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ করে তৃণমূল। শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর এক রোখা অবস্থানের জন্যই এরাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।