মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার নির্দেশ

মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ঠিক রাখার বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণের নীতিমালা কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু।

পরে ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ জানান, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ২ শতাংশ করে নীতিমালা করেছিল সংশ্লিষ্টরা। সেই নীতিমালাতে আজকে ৫ শতাংশ মেনশন করার জন্য হাইকোর্ট বলে দিয়েছেন। ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ রাখার রায় বহাল রেখেছিলেন।

এর আগে মেডিক্যাল ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কোটা রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলাম নামে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কাউন্সিলের নেতার পক্ষে আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

রিটের আগে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। তাতে সাড়া না পেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং সন্তানদের সন্তানাদির জন্য মোট আসনের ২ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে এই কোটার আসন শূন্য থাকলে সাধারণ কোটা থেকে মেধাক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে এই আসন পূরণ করা যাবে।’

রিটকারীদের আইনজীবী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ রাখার গাইডলাইন সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। তা লঙ্ঘন করে ভর্তি নীতিমালায় দুই শতাংশ রাখা হয়েছে। আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে যেন ফলাফল দেওয়া হয়।