Bengali Budget 2024: ‘ধর্মীয় পর্যটনে জোর দেবে কেন্দ্রীয় সরকার’‌, রামমন্দিরের পর বাজেটেও নির্মলার বড় পরিকল্পনা

লোকসভা নির্বাচন এখন সামনে। তবে এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করেছেন অযোধ্যায় রামমন্দির। আবার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। আর আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের শেষ বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারামন। দেশের অর্থমন্ত্রীর নামে রাম–সীতা রয়েছে। আজ দেশের অর্থমন্ত্রী নিজেই বাজেট বক্তব্যে জানালেন, ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতির বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা আছে ধর্মীয় পর্যটনে। সুতরাং দেশের ধর্মস্থান থেকে তীর্থক্ষেত্রগুলিকেই পর্যটকদের আকর্ষণের ভরকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই কথা শুনে তাঁর দলের সাংসদ–মন্ত্রীরা ভূয়সী প্রশংসা করতে শুরু করেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বাজেটকে বিকশিত ভারতের বাজেট বলে অভিহিত করেছেন। আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আর্থিক উন্নতি হবে। আঞ্চলিক অর্থনীতির সমৃদ্ধি ঘটবে।’ সীতারামনের কথায়, দেশের ধর্মস্থানগুলিকে পর্যটন ক্ষেত্রগুলিকে ব্র্যান্ডিং করা হবে। তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় প্রচার করা হবে। মানুষকে উৎসাহিত করা হবে। দেশের সমস্ত রাজ্যকেই এগিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করবে। অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই কথা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অযোধ্যায় হোটেল তৈরির প্রস্তাবে জোয়ার এসেছে। অযোধ্যায় ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদেরও। তার মধ্যেই ধর্মীয় পর্যটন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন।

এদিকে ভারতে বহু তীর্থস্থান আছে। একাধিক ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তীর্থক্ষেত্র রয়েছে ভারতে। বহু ধর্মীয় পর্যটন আছে বাংলাতেই। কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর থেকে শুরু করে মায়াপুর, তারকেশ্বর, তারাপীঠ, কঙ্কালীতলার মতো সতীপীঠ আছে। আবার দিঘায় জগন্নাথের মন্দির নির্মাণ হচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায়। এতদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীর্থক্ষেত্র নিয়ে কোনও পরিকল্পনার কথা বলতে শোনা যায়নি। যা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে বাংলার পথেই হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘ধর্মীয় পর্যটনে জোর দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক রাজ্যে পর্যটন স্থানগুলির উন্নয়ন চাই। প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:‌ ভারতের প্রথম নদী সংযোগ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ল, দরপত্রে কেউ সাড়া দিল না

অন্যদিকে রামমন্দিরের পরে মোদী সরকারের এই বাজেটে সমস্ত রাজ্যেরই ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, লাক্ষাদ্বীপ–সহ দেশের সব পর্যটন ক্ষেত্রে সুবিধা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মধ্যবিত্ত মানুষজন বেড়াতে ভালবাসে। তাদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যগুলিকে নতুন পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি করতে সাহায্য করার কথাও বলেছেন নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা অনেক আগেই বাংলায় করে দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ের নানা নতুন নতুন জায়গায় নিজে গিয়ে নয়া পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।