Cervical Cancer: সার্ভিক্যাল ক্যানসারে প্রয়াত পুনম পান্ডে! কেন হয় এই ক্যানসার, এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি

সার্ভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুর মুখের ক্যানসার। হঠাৎ করে আলোচনায় এই রোগ। কারণ এই রোগ কেড়ে নিয়েছে পুনম পান্ডের প্রাণ। শুক্রবার সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে সকাল থেকে। অনেকেই জানতে চান, এই ক্যানসারের কারণ কী? কাদের ঝুঁকি বেশি? জেনে নেওয়া যাক, সেই কথা।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, ভাইরাসের আক্রমণেই সাধারণত জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়। শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষের কাছ থেকে নারীদেহে এই ভাইরাস ঢুকে গিয়ে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সৃষ্টি করে বসে। ভাইরাস ঢুকে সেটা অস্বাভাবিক আকার নিতে সময় লাগায় বছরের পর বছর। এরপর নারীদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, ক্যানসারের প্রকোপ অনবরত বাড়তে থাকে। এছাড়াও এই রোগের একগুচ্ছ কারণ থাকতে পারে।

  • এই রোগে কাদের ঝুঁকি বেশি

সার্ভিকাল ক্যানসার ভারতীয় তথা বাংলাদেশের মহিলাদের মধ্যে ক্যানসার মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ এবং বড় কারণ। এটি এমন একটি ক্যানসার যা থেকে প্রতিরোধ এবং নিরাময় উভয়ই সম্ভব। কিন্তু ভারতীয় নারীদের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের কারণে তাঁরা সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করাতে পারেন না। যার কারণে শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকদের পক্ষে আক্রান্ত মহিলার জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই জরায়ু মুখের ক্যানসার বা সার্ভিকাল ক্যানসার প্রতিরোধে এর টিকা ও নিয়মিত স্ক্রিনিং সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

  • যে ব্যক্তিদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন

১) ১৬ বছর বয়স হওয়ার আগে কিংবা ঋতুচক্র শুরুর ১ বছরের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে এই রোগ হয়।

২) স্বামী বা শারীরিক সঙ্গীর শরীরে এই হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ভাইরাস, এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, ইত্যাদি থাকলে রোগটি বাসা বাঁধে।

৩) অনেকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকলে।

৪) ৫ বছরের বেশি সময় ধরে গর্ভ নিরোধক ওষুধ খেলে।

৫) ধূমপানের অভ্যাস থাকলে।

৬) শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে।

  • সার্ভিকাল ক্যানসার লক্ষণ কী কী

জরায়ুর ক্যানসার মহিলাদের জরায়ুর কোষকে প্রভাবিত করে। জরায়ুর নীচের অংশের অংশ যা যোনিপথের সঙ্গে সংযুক্ত অংশের কোষে বাসা বাঁধে এই মারণ রোগ। সার্ভিকাল ক্যানসারের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) এর বিভিন্ন এইচপিভি স্ট্রেন দ্বারা সৃষ্ট হয়। এইচপিভি একটি খুব সাধারণ যৌন সংক্রামিত রোগ যা যৌনাঙ্গে আঁচিল হিসাবে দেখা দেয়। ধীরে ধীরে এগুলো সার্ভিকাল কোষকে ক্যানসার কোষে পরিণত করে।

  • সার্ভিকাল ক্যানসারের কারণ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানব প্যাপিলোমা ভাইরাসই জরায়ু মুখের ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । সাধারণত, যখন মহিলারা HPV-এর সংস্পর্শে আসে, তখন একজন মহিলার শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভাইরাসটিকে কোনও ক্ষতি করতে বাধা দেয়। কিন্তু বেশি দিন ধরে ওই ইনিউন সিস্টেম কাজ করতে পারে না। তাই মহিলাদের ইমিউন সিস্টেম শেষমেশ ওই ভাইরাসটিকে নির্মূল করতে পারে না। এরপর জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

  • এই কারণগুলোও দায়ী হতে পারে

একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং খুব অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন (এসটিআই) এবং এইচআইভিও এইচপিভি এর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপানও মহিলাদের মধ্যে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যবিধির অভাব, সচেতনতার অভাব এবং সময়মতো চিকিৎসা না করার কারণে জরায়ু মুখের ক্যানসারের ঘটনা শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় বেশি।