Barasat Bar Association: বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড দখল বাম-কংগ্রেস জোটের, সচিব পদে জয় তৃণমূলের – CPIM

রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট অন্ধকারাচ্ছন্ন। তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দল একলা চল নীতিতে লড়াই করবেন। অন্য দিকে বাম বা কংগ্রেস পরস্পরের হাত ধরে লোকসভা ভোটে লড়াই করবে কি না তা এখনও স্পষ্ট  নয়। এদিকে রাজ্য জোটের বিভিন্ন সমীকরণে লড়াই হচ্ছে সমবায় কিংবা অন্যান্য সংগঠনিক ভোটে। তেমনই বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়াই করে তৃণমূলের হাত থেকে বোর্ড ছিনিয়ে নিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ সচিবের পদে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। এই জয়ের ফলে আগামী দু’বছর বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড থাকবে বাম-কংগ্রেস জোটের হাতে। 

বাম-কংগ্রেস জোট বোর্ড দখল করলেও লড়াই হয়েছে গলায় গলায়।  মোট ১৭টি আসনের মধ্যে জোট পেয়েছে ৯টি আসন এবং তৃণমূল সচিব সহ ৮টি আসন। ভোটার ছিল ২০৫৪ জন। এক একজন ১৭টি করে ভোট দিয়েছে। তিনদিন ধরে গণনার পর শনিবার ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। 

জোট জিতলেও তৃণমূলের দাবি, যেহেতু সচিব নির্ভর সংগঠন, তাই সচিব তাদের হওয়ায় ৫০ শতাংশ বোর্ডের দখল তাদের হাতে। তৃণমূলের অভিযোগ,  রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেস নিয়মিত অপ্রচারেই এই হার। তাছাড়া বিজেপি এবং সিপিআই জোটের দোসর হওয়ায় তাদের হারানো সহজ হয়েছে। না হলে তাদের আসন আরও বাড়ত। 

পড়ুন। বাংলা থেকে এবার রাজ্যসভা ভোটে কাকে প্রার্থী করবে BJP? ‘শর্টলিস্ট’ ৪টি নাম

তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা। তাদের কটাক্ষ, হেরে গিয়ে এই ধরনের যুক্তি খাড়া করছে তৃণমূল। তবে ভোটের ফল যাই হোক না কেন সবাইকে বোর্ড চলবে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা। আইনজীবীদের সব রকম সুবিধা অসুবিধা দেখেই কাজ করবে বোর্ড। সিপিএমের এক প্রার্থী সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘ভোটের লড়াই শেষ। আগামী কাল যখন আমরা কালো কোর্টটা পরব তখন আমরা সবাই এক।’

তবে এই ফলের সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির জোটের সমীকরণকে গুলিয়ে ফেলা সঠিক নয় বলে মনে করেন প্রার্থীরা। এর সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটেরও কোনও সম্পর্ক নেই।

প্রসঙ্গত. এর আগেও একাধিক সমবায় নির্বাচনে বিভিন্ন জোট দেখা গিয়েছে। কখনও বাম-কংগ্রেস, কখনও বা বাম-বিজেপি। যদি সিপিআইএমের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা ছিল, কোনও ভাবেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট করা যাবে না।  কিন্তু তা সত্ত্বেও একাধিক জায়গায় বাম-বিজেপি জোট করে সমবায় বা অন্যকোনও সংগঠনের ভোটে লড়াই করেছে। তবে বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে বামেদের ‘স্বাভাবিক মিত্র’ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই হয়েছে।