Budget 2024: আশা–অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় আনার প্রস্তাব, আছে স্বাস্থ্যসাথী

‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যবিমা এই রাজ্যে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং এই নিয়ে রাজ্য–কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত। কিন্তু রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ বাংলায় এগিয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পে মানুষ বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করিয়ে ফল পেয়েছে। তাই মানুষের কাছে বিশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করেছেন, তাতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটা কাজে আসবে না। আর একটা অংশ বলছেন, রাজ্যকে চাপে রাখতেই এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী একটা বড় প্রভাব ফেলেছে। কারণ বাংলার মানুষজনকে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। সবটা দেয় রাজ্য সরকার। পরিবর্তে চিকিৎসা পরিষেবা ১০০ শতাংশ মেলে। এই বিষয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই রাজ্যে আমরা আয়ুষ্মান নিইনি, নেবও না। ৪০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। অথচ তাঁরা তাঁদের মা–বাবাকে তার আওতায় আনতে পারবেন না। যেটা এই রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথীতে করা যায়।’ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে আয়ুষ্মান প্রকল্পের দরকার কেন? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মানুষ আর লাইনে দাঁড়াতে চান না। বাংলার বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে খুশি। এমনই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের। আশা–অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজের পরিধি বেড়েছে। তাতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন চিকিৎসা করতে গেলে তাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করেন। তবে এটা শুধু এই রাজ্যের জন্য। অন্যান্য রাজ্যের আশা–অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত চালু করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই রাজ্যে চাপ বাড়াতে চায়। আর এই আশা–অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কথা বলে লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চাইছে কেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কতটা কাজ দেবে বাংলায় সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে অনেকের।

আরও পড়ুন:‌ বীরভূমে ঢুকতে পারবেন না রাহুল গান্ধী, ন্যায় যাত্রার অনুমতি খারিজ করল পুলিশ

এছাড়া সরকারি সূত্রে খবর, বাংলার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পান আশাকর্মীরা। তবে আয়ুষ্মান স্বাস্থ্যবিমার আওতায় এলে আরও পাঁচ লক্ষ টাকার সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু রাজ্যে ঢুকতে পারলে তবে তো। এই বিষয়ে স্কিম ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বলেন, ‘‌প্রয়োজন ছিল মাসিক ভাতা বাড়ানোর। আমাদের একজন কর্মী যে মাস মাইনে পান, তাতে তাঁকে সংসার চালাতে অসুবিধায় পড়তে হয়। দৈনন্দিন জীবন চালানো কঠিন। সেখানে এই বিমা দিয়ে কী হবে?’‌