India-Maldives Row: মলদ্বীপের বোটে ভারতীয় জওয়ান কেন? নয়া বিতর্কের মাঝে দিল্লিকে প্রশ্ন মুইজ্জু সরকারের

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এরই মাঝে ফের একবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মলদ্বীপের তিনটি মাছধরার নৌকায় উঠে পড়ে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার পক্ষে। তবে সেই ভিডিয়োর সূত্র ধরেই দাবি করা হচ্ছে, মলদ্বীপের জলসীমার মধ্যে থাকাকালীনই নাকি সেই নৌকাগুলিতে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উঠে পড়ে। আন্তর্জাতিক জলসীমা আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে মহম্মদ মুইজ্জুর প্রশাসন। এই আবহে এবার সরাসরি দিল্লির কাছ থেকে জবাবদিহি চাইল মালে। (আরও পড়ুন: ছন্নছাড়া বিরোধী জোট, ‘৪০ আসন’ মন্তব্যের জবাবে মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর)

আরও পড়ুন: নবীনকে ‘বন্ধু’ আখ্যা মোদীর, দুই নেতার ‘ব্রোম্যান্সে’ বিজেপি-বিজেডি জোটের জল্পনা

জানা গিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি এই ঘটনাটি রিপোর্ট করা হয়েছিল। এদিকে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি। ঘটনার সত্যতাও এখনও স্বীকার করা হয়নি ভারতের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং মলদ্বীপের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরে যাওয়ার জন্য মুইজ্জু যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা করতেই সেই বৈঠক হয়েছিল। এর আগে মুইজ্জু ঘোষণা করেছিলেন, মার্চেই ভারতকে তাদের জওয়ানদের সরাতে হবে। তবে দুই দেশের বৈঠকের পর মলদ্বীপ দাবি করে, দিল্লি নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আগামী মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই ভারতীয় জওয়ানদের সেই দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য বা অসুস্থদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যে ভারতের তরফ থেকে দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয়েছিল মলদ্বীপকে। সেই তিন বায়ুযান পরিচালনার জন্যেই প্রায় ৮০ জন ভারতীয় জওয়ান মলদ্বীপে আছে। সম্প্রতি ভারতীয় বিমান ব্যবহার করতে অস্বীকার করায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল মলদ্বীপে। এই আবহে চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল মুইজ্জু সরকারকে। আর সেই বিতর্কের মাঝেই এবার নতুন করে এই মাছ ধরার নৌকা বিতর্ক সামনে এল।

এদিকে মলদ্বীপ-ভারত বৈঠকের দিনই মলদ্বীপের সামরিক বাহিনী দাবি করে, গত ৩১ জানুয়ারি সেই দেশের জলসীমার মধ্যে মাছ ধরার সময়ই মলদ্বীপের তিনটি মাছ ধরার নৌকাকে আটকায় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। অভিযোগ করা হয়, মলদ্বীপের প্রশাসনের সঙ্গে আগে থেকে কোনও আলোচনা না করেই সেই মাছ ধরার নৌকায় উঠে পড়েন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনাটি নাকি ঘটে মলদ্বীরেপ ঢিলঢোঢো হা আলিফু অ্যাটলের ৭২ নটিকাল মাইস উত্তরপূর্বে। এই আবহে দিল্লির থেকে এই ঘটনার জবাবদিহি চেয়েছে মলদ্বীপ সরকার। মলদ্বীপের অভিযোগ, ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ২৪৬ এবং ২৫৩ নম্বর জাহাজ সেই দেশের মাছ ধরার নৌকাকে আটকেছিল এবং নৌকায় উঠে ভারতীয় জওয়ানরা মলদ্বীপের মৎস্যজীবীদের জেরা করেছিলেন। উল্লেখ্য, গতবছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চিনপন্থী মুইজ্জু হারিয়ে দিয়েছিলেন ভারতপন্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহকে। এরপর থেকেই ভারতের সঙ্গে নানান বিষয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে মলদ্বীপের।