Sukanta on Dev: সরকারি কমিটিতে ইস্তফা দিতেই দেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুকান্ত, তবে কি…

তিনটি সরকারি কমিটি থেকে দেবের ইস্তফার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না – কাটতে তাঁকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে দেবকে ‘অসৎ সঙ্গ’ থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিলেন তিনি। পালটা তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলেই স্বর্গবাস, বিজেপি হল নরক।

রবিবার সুকান্তবাবু বলেন, ‘গরু ও কয়লা পাচারের টাকা দেবের ফিল্মে লগ্নি হয়েছিল বলে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন যা বলেছিলাম সেটাই আবার বলছি। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরক বাস। দেব ভালো ছেলে। কথাবার্তাও ভালো। লোকসভায় আমার সঙ্গে কথা হয়। আমি তাঁকে শুধু এটুকুই বলব, অসৎসঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। তাহলে নরকবাসের চান্স অন্তত থাকবে না। স্বর্গবাস হবে কি না জানি না। অন্তত নরকবাসের সম্ভাবনা থাকবে না। দেবের সঙ্গে কথা বলে আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে আগামী দিনে তার ভোটে দাঁড়ানোরও ইচ্ছা নেই। কোনও দিনও ইচ্ছা ছিল না। আপনারা দেখেছেন, ববি হাকিমের একটা ভিডিয়ো লিক হয়েছিল। যেখানে ববি হাকিম বলছেন, দেবকে জোর করে দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ভোটে লড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর ইচ্ছা নেই যে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন’।

পালটা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দেবকে যদি না দাঁড় করানো যায় তাহলে কি সুকান্তবাবু ওখানে দাঁড়াবেন? সুকান্তবাবুর নিজের জায়গা তো ফাঁকা হয়ে গেছে। বালুরঘাটে অন্তত ২ লক্ষ ভোটে হারবে। যারা বিজেপির সাথে রয়েছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সমাজকে ভাগ করে, মানুষকে ভাগ করে যারা থাকে তারা নরকে রয়েছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস একসঙ্গে সংহতির সঙ্গে থাকি। তাই আমাদের সঙ্গে যারা থাকবে তারা স্বর্গে থাকবে’।

এদিন দেবকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, ‘সবে তো সকাল, এখনও দুপুর হয়নি। দেখুন আগামীতে কী হয়। দেব সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন।’

শনিবার সাংসদের পদাধিকারবলে পাওয়া তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেন দেব। বীরসিংহ উন্নয়ন পরিষদের সহ সভাপতি, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তিনি যে আর ভোটে দাঁড়াতে চান না দলকে সেই বার্তা দিতেই পদত্যাগ করেছেন দেব। অভিনয়ে মন দিতে চান তিনি।