বিল গেটসকে ছাড়ালেন মার্ক জুকারবার্গ, উঠে এলেন ধনীদের তালিকায় চার নম্বরে

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় চার নম্বরে উঠে এলেন মার্ক জুকারবার্গ। মেটা প্ল্যাটফর্মের শেয়ার ব্যাপক বৃদ্ধি পেতেই কোম্পানির সিইও মার্ক জুকারবার্গের পকেটে ভরল। তাঁর সম্পদের নেট মূল্যও বাড়ল উল্লেখযোগ্যভাবে। ব্লুমবার্গের মতে, জুকারবার্গের মোট সম্পদ প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার তালিকা অনুযায়ী, জুকারবার্গের মোট সম্পদ বর্তমানে ১৬৭.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সেখানে বিল গেটসের কাছে রয়েছে ১২৪ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুকের মূল মেটা প্ল্যাটফর্ম সপ্তাহের শেষ দিনে এই নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। কোম্পানির শেয়ার ২০ শতাংশের বেশি এবং এর মার্কেট ক্যাপ ২০৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এটি একদিনে যেকোনও কোম্পানির মার্কেট ক্যাপে সবচেয়ে বড় লাফ। 

চার লাখ কোটি টাকা মাস্ককে দেওয়া হচ্ছে কেন? টেসলাকে ভর্ৎসনা মার্কিন কোর্টের

  • বিশ্বের শীর্ষ ৪ ধনী ব্যক্তিদের তালিকা

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে পৌঁছেছেন মার্ক। ফোর্বসের মতে, জুকারবার্গের চেয়ে তিন ধনী ব্যক্তিরা হলেন, বার্নার্ড আর্নল্ট, এলন মাস্ক এবং জেফ বেজোস।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, মাস্কের মোট সম্পদ এখন ২০৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড ছিল অ্যাপলের নামে। ১০ নভেম্বর, ২০২২-এ, অ্যাপলের মার্কেট ক্যাপ ১৯১ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। মজার ব্যাপার হল, একদিনে সবচেয়ে বেশি মার্কেট ক্যাপ হারানোর রেকর্ডও মেটারই নামে। এইভাবে একদিনে সর্বোচ্চ আয় ও লোকসান দুটোর রেকর্ডই এখন মেটার নামে।

উল্লেখ্য, মেটা প্ল্যাটফর্মে জুকারবার্গের ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০০৪ সালে জুকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বন্ধুর সাথে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজ বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট। ১৪ মে, ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণকারী জুকারবার্গ মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন।

আমেরিকার শীর্ষ সাত কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ বেড়েছে মোট তিন ট্রিলিয়ন ডলার। এগুলোকে বলা হয় ম্যাগনিফিসেন্ট ৭। এর মধ্যে রয়েছে টেসলা, মেটা, অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, অ্যাপল, মাইক্রোসফট এবং এনভিডিয়া। তাদের মোট মার্কেট ক্যাপ জাপান, কানাডা এবং ব্রিটেনের স্টক মার্কেটের সম্মিলিত মার্কেট ক্যাপের সমান হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, আমেরিকা এবং চিন ছাড়া বিশ্বের প্রতিটি দেশের চেয়ে এই সংস্থাগুলির বাজার মূলধন বেশ বড় অঙ্কের।