Chandigarh Mayoral Poll: রিটার্নিং অফিসার এসব কী করেছেন? চন্ডীগড় মেয়র ভোটে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

চন্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে জিতেছিল বিজেপি। এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন আপ সহ অন্য়ান্য় বিরোধীরা। তবে এবার এনিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই ভোটের প্রিসাইডিং অফিসারকে অভিযুক্ত করা দরকার। কারণ ভিডিয়োতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে যে তিনি ব্যালট পেপারকে বিকৃত করছেন। ভোটের ফলাফলকে ওলটপালট করার জন্যই তিনি এসব করেছিলেন।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দাওয়ালা ও মনোজ মিশ্র রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দেন। সেই সঙ্গেই এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে বড় রসিকতা করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।

বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এটা নিশ্চিত যে তিনি ব্যালট পেপারকে বিকৃত করেছিলেন। তাঁকে অভিযুক্ত করা দরকার। তিনি কেন ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছিলেন? মিস্টার সলিসিটর এটা হল গণতন্ত্রের সঙ্গে একটা রসিকতা, ও গণতন্ত্রকে খুন করার মতো ঘটনা। রিটার্নিং অফিসারের কি এই ধরনের ব্যবহার হওয়া দরকার? যেখানে নীচের দিকে কাটা চিহ্ন রয়েছে সেটা তিনি ধরছেন না আর যেখানে মাথার দিকে রয়েছে সেখানে তিনি বদলে দিচ্ছেন। রিটার্নিং অফিসারকে দয়া করে একটু বলে দেবেন সুপ্রিম কোর্ট তাকে দেখছে। 

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট রিটার্নিং অফিসার অনিল মসিহের বিরুদ্ধে নোটিশ জারির উদ্যোগ নিচ্ছে। সেই সঙ্গেই ব্যালট ও ভিডিয়োগ্রাফিকে সংরক্ষণ করার ব্যাপারে জানিয়েছে আদালত।

অন্যদিকে পরের শুনানির দিন ওই রিটার্নিং অফিসারকে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি চন্ডীগড় পুরসভার মেয়র নির্বাচন নিয়ে যে কর্মসূচির কথা বলা হয়েছিল সেটা পরের শুনানির দিন পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, বিকেল ৫টার মধ্য়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের হাতে যাবতীয় নথিপত্র তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

গত ৩০ জানুয়ারি বিজেপির মনোজ সোঙ্কার মেয়র পদে ভোটে জিতেছিলেন। তিনি ১৬টি ভোট পেয়েছিলেন। আপ প্রার্থী এক্ষেত্রে পেয়েছিলেন ১২টি ভোট। কিন্তু সেই ভোটে কারচুপি হয়েছিল বলে বার বার অভিযোগ তুলেছিল আপ। 

এদিকে চন্ডীগড়ের মেয়র পদে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু  আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর কুলদীপ কুমার আগেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যে এই ভোটের ফলাফলে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। পঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালতে কাছে এই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুই আদালতই এনিয়ে স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি।