মণীষ কে পাঠক
ঘৃণাসূচক বক্তব্য মামলায় গুজরাটের ইসলামি মৌলবী মুফতি সালমান আজহারিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপরই হাজার হাজার অনুগামী থানার সামনে জড়ো হয়ে যায়। তবে অশান্তি পাকানো ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় রাজনীতিবিদ সহ ধর্মগুরুর শত শত সমর্থক থানা ঘেরাও করে। পরে ঘাটকোপার পুলিশ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এছাড়াও ৮০০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, জনতা এবং তার নেতাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক আইনে মামলা করা হয়েছে। সরকারী কর্মচারীদের তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া, হামলা, দাঙ্গা এবং আঘাত করা সহ একাধিক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অচলাবস্থা গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং আজহারিকে পুলিশের অনুরোধে লাউডস্পিকারে জনতার কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করতে দেখা যায়।
এর আগে সন্ধ্যায় আজহারির সমর্থকরা কাছের একটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বাসে পাথর ছুঁড়ে মারলে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ জিতেন্দ্র আগরকর-সহ পাঁচ পুলিশ অফিসার জখম হন।
পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আমরা রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (এসআরপিএফ) এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বাহিনীর একটি ব্যাটালিয়নকে ভিকরোলি, ঘাটকোপার এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে নিকটবর্তী থানার পুলিশ কর্মীদের ডেকেছি, বলেছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার পুরুষোত্তম কারাদ( জোন ৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন ঘাটকোপার পশ্চিমের বাসিন্দা সালমান সাঈদ (২৫), আজিম শেখ (২১), মহম্মদ শাব্বিরলাল মহম্মদ (৩২) এবং ভিখরোলির পার্ক সাইটের বাসিন্দা মোহাম্মদ বিলাল আবদুল রেহমান কাজি (২৩) ও আব্দুল রেহমান আব্দুলা কাজি (৬০)।
বিদ্বেষমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আজহারিকে স্থানীয় আদালতে হাজির করা হলে তাকে গুজরাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি গুজরাটের জুনাগড় আদালতের কাছে নারায়ণ বিদ্যা মন্দিরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভাষণের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে গুজরাট পুলিশ জুনাগড়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছে এবং আজহারির বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য মামলা দায়ের করেছে।
এদিক উত্তেজিত জনতা ওই মৌলবীকে আল্লাহর দূত বলে উল্লেখ করেন। তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।