Modi’s explanation on parivarvaad: শাহ ও রাজনাথ মোটেও পরিবারতন্ত্রের ধ্বজাধারী নন, তাহলে কারা? বোঝালেন মোদী

অমিত শাহ বা রাজনাথ সিং মোটেও পরিবারতন্ত্রের ধ্বজাধারী নন। তাহলে পরিবারতন্ত্র দিয়ে কাদের নিশানা করেন, তা একেবারে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপনের ভাষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোন পরিবারতন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করছি? নিজের দমে, জনসমর্থন নিয়ে কোনও পরিবারের একাধিক সদস্য যদি রাজনীতিতে উঠে আসেন, সেই বিষয়টাকে আমরা কখনও পরিবারতন্ত্র বলিনি।’

তাহলে পরিবারতন্ত্র’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, সেটাও ব্যাখ্যা করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আমরা সেইসব দলের পরিবারতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করি, যে সব দল চালিয়ে থাকে কোনও পরিবার, যে সব দল পরিবারের লোকজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, যে সব দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকেরাই। সেটাই হচ্ছে পরিবারতন্ত্র।’ 

আর সেই প্রসঙ্গে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথের নাম করেন মোদী। যে দু’জনের নাম টেনে এনে অতীতে একাধিকবার পরিবারতন্ত্র নিয়ে পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছেলে জয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব। আর রাজনাথের ছেলে পঙ্কজ বিধায়ক বলেও আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস।

সম্ভবত সেই আক্রমণের পালটা হিসেবেই সোমবার মোদী বলেন, ‘রাজনাথজি’র না কোনও রাজনৈতিক দল আছে, না অমিত শাহের কোনও রাজনৈতিক দল আছে। আর সেজন্যই যে দলে একটি পরিবারকে সামনে রেখে সবকিছু হয়, তা গণতন্ত্রের পক্ষে ভালো নয়। একটি পরিবার থেকে ১০ জন রাজনীতিতে যোগ দিক, তাতে কোনও বাজে ব্যাপার নেই। আমরা তো চাই যে রাজনীতিতে নয়া প্রজন্ম আসুক।’

আরও পড়ুন: PM Modi speech highlights: আমি এসব বলি না, তবে এবার বলছি, লোকসভা ভোটে ৩৭০ আসন পাবে BJP, আত্মবিশ্বাসী মোদী

মোদী আরও বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রের জন্য রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকা এবং পরিবার-নির্ভর দল উপস্থিতি সকলের কাছেই চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত। তাই কোনও পরিবারের দু’জন যদি উন্নতি করেন, সেটাকে তো আমি দু’হাত তুলে অভিবাদন জানাব। ১০ জন এগিয়ে আসুক, আমি অভিবাদন জানাব। নয়া প্রজন্ম রাজনীতিতে অভিবাদন জানাব। কিন্তু (আমরা যে পরিবারতন্ত্রের কথা বলছি), তাতে পরিবারই দলকে চালিয়ে থাকে। আগে থেকেই ঠিক হয়ে থাকে, উনি না থাকলে তাঁর ছেলে (কোনও পদে আসীন) হবেন। ছেলে না থাকলে তাঁর ছেলে (কোনও পদে আসীন) হবেন। এটাই গণতন্ত্রে কাম্য নয়। এটাই গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।’

আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: নেহরু ভাবতেন ভারতবাসী অলস-বোকা, ইন্দিরাজি কী ভাবতেন? সেটাও বললেন মোদী