মির্জা ফখরুল- আমির খসরুর জামিনের আবেদন

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সকালে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এই মামলায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছি। তবে আমরা আজকের মধ্যে জামিন শুনানির চেষ্টা করবো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুল ও আমির খসরুর গত ২৪ জানুয়ারি ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের এ মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন আইনজীবীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে এই আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টির বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় বিএনপির ৭২ জন নেতার নাম উল্লেখ করে কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মোফিজুর রহমান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

তবে আরেকটি মামলায় ৫৯ জন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে সিদ্ধেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সহিদুল ওসমান মাসুম বাদি হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলাই ঘটনার পরদিন ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় দায়ের করা হয়।

জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে গত ২৯ অক্টোবর আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমির খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনিও কারাগারে রয়েছেন।