ICICI-Videocon লোন মামলায় চন্দা ও দীপকের গ্রেফতারি পুরো অবৈধ, জানাল বোম্বে হাইকোর্ট

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চন্দা কোছর ও তাঁর স্বামী দীপক কোছরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ভিডিয়োকন লোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। এবার  বোম্বে হাইকোর্ট মঙ্গলবার জানিয়ে দিল এই গ্রেফতারি পুরোপুরি অবৈধ। 

ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বিচারপতি অনুজা প্রভুদেশাই ও এনআর বোরকর রায়দান করেছেন। 

বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দা কোছর ও দীপক কোছরকে গত ২৪ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভিডিয়োকন গ্রুপকে ৩২৫০ কোটি টাকার লোন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই লোন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। 

অভিযোগ করা হয়েছিল যে চন্দার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন এই লোন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে লাভবান হয়েছিলেন।  

২০১৮ সালের মে মাসে কোছরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ভিডিয়োকন গ্রুপকে ৩২৫০ কোটির লোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আসলে স্বামীকে সুবিধা করে দিতে গিয়ে তিনি এসব করেছিলেন বলে দাবি করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম দীপক কোছর।

এরপর ছুটিতে চলে যান কোছর। তারপর তিনি স্বেচ্ছা অবসরের জন্য চিঠি দেন। এটা ব্যাঙ্ক মেনে নেয়। তবে সেই সময় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছিল এটা আসলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল।

মূলত দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তিনি। সেই চন্দা এবার অবসরকালীন সুবিধা চেয়েছিলেন ব্যাঙ্কের কাছ থেকে।

ভিডিয়োকন-আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ঋণের মামলায় দায়ের করা চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, বেণুগোপাল ধৃতের সংস্থার জন্য চন্দা কোছর ঋণ অনুমোদন করায় তাঁর ব্যাঙ্কের ১০০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছিল। উল্লেখ্য, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি তথা সিইও চন্দা কোছরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভিডিয়োকন গ্রুপকে ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁর স্বামী এবং দীপকের সংস্থা এর বদলে ‘পুরস্কার’ পেয়েছিল।

ভিডিয়োকন গ্রুপের প্রোমোটার বেণুগোপালের সঙ্গে জড়িত একটি ঋণ জালিয়াতির মামলায় চন্দা এবং দীপক কোছরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবৈধভাবে ভিডিয়োকনকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন কোচর দম্পতি। ঋণের অনুমোদন হওয়ার কয়েকদিন পরই দীপক কোছরের নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলে বিনিয়োগ করেন বেণুগোপাল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান চন্দার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।