Jadavpur University Professor Death: ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমন স্যারের! রহস্য চরমে

অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্য়াপকের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই অধ্য়াপকের নাম সুমন নিহার। তাঁর বয়স ৩৭ বছর। মুর্শিদাবাদের লালগোলায় তাঁর বাড়ি। সেই বাড়ি থেকেই ওই প্রফেসরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে অধ্য়াপকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

গত রবিবারই তিনি লালগোলার বাড়িতে ফিরেছিলেন। তখনও অস্বাভাবিক কিছু বোঝা যায়নি পরিবারের লোকজনের। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর কলকাতায় ফেরার ট্রেন ছিল। কিন্তু তার আগে বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই অধ্য়াপক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কারণ নিয়ে ধন্ধ দেখা দিয়েছে। 

লালগোলার বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। তবে কর্মসূত্রে তিনি কলকাতায় থাকতেন। মাঝেমধ্য়েই লালগোলার বাড়িতে ফিরতেন। সুমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কর্মরত। 

বাড়িতে বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। কিন্তু কেন তিনি এই চরম পথ বেছে নিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সম্ভবত পারিবারিক কোনও অশান্তির জেরেই তিনি এই কাজ করেন। তবে তিনি এলাকায় মেধাবী যুবক বলেই পরিচিত ছিলেন। এদিকে গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন না ওই অধ্য়াপক। তবে এদিনই তাঁর কলকাতায় আসার কথা ছিল। 

তবে ইদানিং তিনি কিছুটা মনমরা হয়ে থাকতেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে ঠিক কোন ধরনের মন খারাপ তার মধ্য়ে বাসা বেঁধেছিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে তাঁর পরিবারের তরফে কিছু জানা যায়নি। 

তবে প্রেমের সম্পর্ক জনিত কোনও বিষয় ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে। কেন তিনি এইভাবে চরম পথ বেছে নিলেন, এত ভালো কেরিয়ার ছেড়ে কেন তিনি এভাবে অকালে বিদায় নিলেন তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। 

এর আগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর সামন্তক দাস প্রয়াত হয়েছিলেন। নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। রাণীকুঠি এলাকায় থাকতেন তিনি। বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়ি এসে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডাকা হয়। তখনই ঝুলন্ত দেহ মেলে।