Jio Finance Share hike Rumour: এবার কি জিও-র পকেটে পেটিএম ওয়ালেট? শেয়ার দর ১৫% চড়তেই সত্যিটা বলল আম্বানির সংস্থা

পেটিএম ওয়ালেট কিনে নিচ্ছে মুকেশ আম্বানির জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। এমনই একটা গুজব গতকাল রটে গিয়েছিল শেয়ার বাজারে। সেই জল্পনার মধ্যেই বাজারে হুড়মুড়িয়ে চড়তে শুরু করেছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থার শেয়ার। এই আবহে একটা সময়ে জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের শেয়ারের দাম ১৪ শতাংশের ওপরে চলে যায়। তবে এরপরে জিও ফিনান্সের তরফ থেকে এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়। আম্বানির সংস্থা জানায়, পেটিএম ওয়ালেট কিনে নেওয়ার বিষয় নিয়ে তারা কোনও আলোচনা করছে না। আপাতত এই খবরটি পুরোপুরি গুজব। (আরও পড়ুন: ‘পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা তো মোদীভক্ত’, ইডির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস)

আরও পড়ুন: গভীর রাতে নাটকীয় পরিস্থিতি, ডিএ আন্দোলনকে ‘রানআউট’ করতে গিয়ে ‘হিটউইকেট’ পুলিশ

এর আগে সোমবার শেয়ার বাজারে লেনদেন বন্ধের সময় জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯২.৪০ টাকা। অর্থাৎ, গত সেশনের তুলনায় সোমবার ৩৮.৬ টাকা বেড়েছিল জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রতিটি শেয়ারের দাম। যা শতাংশের বিচারে ১৫.২১। একাট সময় জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রতিটি শেয়ারের দাম ২৯৫.৭ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেটাই দিনের সর্বোচ্চ স্তর ছিল। আর গতকাল এই শেয়ারের সর্বনিম্ন স্তর ছিল ২৫৫.৫৫ টাকা। প্রসঙ্গত, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সূত্রকে উদ্ধৃত করে হিন্দু বিজনেস লাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে পেটিএম ওয়ালেট বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কথাবার্তাও চালানো হচ্ছে। সেই দৌড়ে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং জিও ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এগিয়ে আছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়। তবে জিও ফিনান্সের তরফ থেকে শেয়ার বাজার ফাইলিংয়ে সেই দাবি খারিজ করা হল।

এদিকে একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, পেটিএম-এর মালিক সংস্থা ওসিএল এবং এর সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধে নাকি অর্থ তছরুপ এবং পাচারের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে ইডি। এই আবহে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নিজেদের বক্তব্য জানায় পেটিএম। মিডিয়ায় প্রকাশিত ইডির তদন্তের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পেটিএম। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত হয়েছিল। তবে পেটিএম বা সংস্থার কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে না। এর আগেও পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যখন তদন্ত হয়েছিল, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করেন তদন্তকারীদের সঙ্গে।