Nirmala Sitharaman: অবিজেপি রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় ফান্ড থেকে বঞ্চিত, অধীরের নালিশে কী বললেন নির্মলা?

শ্রীয়া গাঙ্গুলি

বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন অবিজেপি রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারি ফান্ড থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তবে এবার এনিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

এনিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিকৃতমূলক বক্তব্য যা স্বার্থান্বেষীরা প্রচার করতে চাইছে।

কোনও অর্থমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে বলতে পারেন না যে, ‘আমি এই রাজ্য পছন্দ করি না, টাকা দেওয়া বন্ধ করুন’। কোনো উপায় নেই। এটা এভাবে হতে পারে না। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ করেন, কর্ণাটকের মতো রাজ্যে তহবিল আটকে রেখে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে যে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তাদের ন্যায্য বকেয়া থেকে বঞ্চিত এবং তিনি কর্ণাটকের উদাহরণ দেন। এটা কি সত্যি যে কর্ণাটক রাজ্য তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে? আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া সহ কর্ণাটকের ক্ষমতাসীন সাংসদরা রাজ্যের জন্য আরও অর্থ চেয়ে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছেন।

রবিবার সিদ্ধারামাইয়া বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পর কর হস্তান্তরের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাওয়ায় কর্ণাটক উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে গত চার বছরে ৪৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছু রাজ্যের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, এই আশঙ্কা রাজনৈতিকভাবে বিকৃত আখ্যান, আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, স্বার্থান্বেষী মহল এসব বলছে।

সীতারামন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যকেও স্পটলাইট করেছিলেন যা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে কর্ণাটকের সমস্যাগুলি ছয় মাস আগে শুরু হয়েছিল।

আপনি কি এমন জিনিসগুলিতে ব্যয় করা শুরু করেছেন যার জন্য আপনার ব্যয় করার কথা ছিল না? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না, খরচ করুন। কিন্তু আমার উপর দোষ চাপিয়ে দেবেন না। কেন্দ্রকে দোষ দেবেন না, বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের মে মাসে রাজ্য নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পরে সিদ্ধারামাইয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন।

তৃণমূল কংগ্রেস এমপি সৌগত রায় জানিয়েছিলেন বিনিয়োগের হার তো কমছে। সরকারি লম্বা চওড়া কথা বলছে। কিন্তু তাতে বিনিয়োগের হার কিছু অংশে বাড়ছে না।