Report on WB Govt’s Utilization Certificate: ১০০ দিনের কাজের সব হিসেবই জমা দিয়েছে মমতার সরকার, দাবি রিপোর্টে

কয়েকদিন আগেই সিএজি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, বাংলা নাকি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অনুদান বাবদ আসা টাকার মধ্যে থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও শংসাপত্র (উটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দিতে পারেনি। এর জন্যেই নাকি ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অনুদান আটকে আছে। তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে পালটা তোপ দেগেছিলেন মনতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতারা। সিএজি-কে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে এসবের মাঝেই আজ আবার বর্তমান পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, মমতা জমানায় রাজ্য সরকার সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিয়েছে কেন্দ্রকে। (আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে কারচুপির তদন্তে ইডি, অভিযান WBCS অফিসার থেকে ব্যবসায়ীর বাড়িতে)

মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টর ধরমবীর ঝাঁর তিনটি চিঠি উদ্ধৃত করে বর্তমানের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের ২২ জুন একটি এবং ২০২১ সালেরই ১৪ ডিসেম্বর দু’টি চিঠি লিখে মনরেগা প্রকল্পের ডিরেক্টর দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা পেড়েছে। এই সংক্রান্ত কোনও কাজ বাকি নেই। এই আবহে রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস এই তিনটি চিঠিকে হাতিয়ার করে ১০০ দিনের কাজের টাকার বঞ্চনা নিয়ে সরব হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জনিয়েছেন, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুরির টাকা পাঠাবে তাঁর সরকার। যদিও বিজেপিকে মমতার এই ঘোষণাকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে।

এর আগে সিএজি রিপোর্টে ঠিক কী অভিযোগ করা হয়েছিল? উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ২০০২-০৩ সাল থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত সময়কালের হিসেবের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে সিএজি। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রের থেকে পাওয়া ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও শংসাপত্র (উটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দিতে পারেনি তৃণমূল সরকার। আবার এও বলা হয়েছে, মমতার জনপ্রিয় সব ‘শ্রী’, ‘সাথী’ প্রকল্প চালাতে বাজেট বহির্ভূত ভাবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ধার নেওয়া হচ্ছে। পরে সেই ধার শোধ করতে সরকার আবার ধার নিচ্ছে। এতে ঋণের ফাঁদে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক ভাবে রাজ্য এগোতে পারছে না। এই সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার সিএজি রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্য, সিএজি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা মোট ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র জমা দেয়নি। এর মধ্যে বাম জমানার হিসেব মেলেনি ৩৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার। বাকি যে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শংসাপত্র মেলেনি, তা তৃণমূল সরকারের সময়কার। এদিকে রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, এই ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটির মধ্যে থেকে ৪৯.৫ শতাংশ অর্থের শংসাপত্র বকেয়া ২০১৮-২১, এই তিন বছরের।