Slum Free Odisha: ২০২৪ সালের মধ্য়ে বস্তিমুক্ত হবে ওড়িশার শহর, বাংলায় কবে হবে এই ঘোষণা?

দেবব্রত মোহান্তি

ওড়িশা বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে বিরাট ঘোষণা করা হল। এই বছরের শেষেই ওড়িশার সমস্ত শহরই বস্তিমুক্ত করা হবে। ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাস একথা জানিয়েছেন।

রঘুবর দাস তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৩৬৪টি বস্তিকে আদর্শ কলোনিতে উন্নীত করা হয়েছে। ওড়িশার ১০টি শহর ইতিমধ্যেই বস্তিমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ২.৪০ লাখ বস্তি পরিবারকে ইতিমধ্যেই জমির অধিকার সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার বস্তিগুলিকেও আদর্শ কলোনি হিসাবে উন্নীত করেছে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, সুযোগ সুবিধা, পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্য়ে ওড়িশার সমস্ত শহরকে বস্তিমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই পথেই এগোচ্ছি আমরা।

রাজ্য়পাল জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সমস্ত গ্রামীণ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ২০২৫ সালের মধ্য়ে এই কাজ শেষ করা হবে।  বর্তমানে ১৪,২৭৭টি জল সরবরাহকারী প্রকল্পের মাধ্য়মে নিরাপদ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ৫.৬ লাখ পানীয় জলের কল, কুয়ো, ১২,৬৮৩টি সৌরচালিত পাম্প, ২৩৮৪ সোলার পাইপলাইনের প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে। এখনও পর্যন্ত ৬৯ শতাংশ গ্রামীণ বাড়িতে, ৬৮ শতাংশ স্কুলে, ৫৯ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ও সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে এই পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে।

রাজ্যপাল ওড়িশার অর্থনীতির অগ্রগতির পরিসংখ্যান হাজির করেন। তবে বিরোধী কংগ্রেস রাজ্যপালের বক্তব্যকে বয়কট করে।কংগ্রেসের দাবি, ওড়িশা সরকার রাজ্যপালকে সরকারের প্রশংসা করার জন্য় ব্যবহার করছে।

কংগ্রেস নেতা  নরসিংহ মিশ্র জানিয়েছেন, সাধারণ সরকার রাজ্য সরকার যে বক্তব্য লিখে দেয় সেটাই পাঠ করেন।আর আজ তাঁর দীর্ঘ বক্তব্য শুনে মনে হল আগেকার দিন রাজ রাজারা কিছু মানুষকে নিয়োজিত করতেন তাদের প্রশংসা করার জন্য আর এবার ওড়িশা সরকারের তরফে ঠিক তেমনটাই দেখা গেল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। 

কংগ্রেস নেতা নরসিংহ মিশ্র জানিয়েছেন, গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২০২৩ সালের শেষে ওড়িশা বস্তিমুক্ত হবে। আর এবার সেটা আবার এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া হল।

তিনি জানিয়েছেন, কোনও দিশা নেই। কীভাবে বেকারত্ব দূর করা যাবে তা নিয়ে কেউ কিছু বলছেন না। কীভাবে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া আটকানো যাবে, কীভাবে কর্মসংস্থান হবে তা নিয়ে সরকার কিছু বলছে না। 

তবে বাংলার শহর কবে বস্তিমুক্ত হবে তা নিয়ে অবশ্য় সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।