Tiger attack: সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ, মৃত্যু মৎস্যজীবীর

সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আবারও বাঘের হানায় প্রাণ গেল এক মৎস্যজীবীর। মৃত মৎস্যজীবীর নাম দীপক মণ্ডল(৫৩)। সুন্দরবনের পীরখালির জঙ্গলের কোর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সঙ্গেই কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন দীপক। সেই সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। এরপরে বাঘটি তাঁকে টেনে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে বাঘের মুখ থেকে রক্ষা করা গেলেও প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে জঙ্গলে গেল বাঘ, সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু

জানা গিয়েছে, কাঁকড়া ধরতে কয়েকদিন আগেই তিনজন মৎস্যজীবীর সঙ্গে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন দীপক। তিনি গোসাবার কুমিরমারির বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে আরও যারা ছিলেন তারা হলেন সুদীপ মণ্ডল, দেব মণ্ডল এবং সুজয় মণ্ডল। তারা সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা। একসঙ্গে তারা বাড়ি থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে বেরিয়েছিলেন জঙ্গলে। সেই সময় ঝোঁপের মধ্যে লুকিয়েছিল বাঘটি। তাঁরা সেখানে কাঁকড়া ধরতে যাওয়ার পরেই বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীপককে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন দীপকের চিৎকারে অন্যান্য মৎসজীবীরা সেখানে ছুটে আসেন। তারা বাঁশ, লাঠি দিয়ে দিয়ে বাঘের উপর হামলা চালাতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ বাঘের মানুষের লড়াই চলার পর বাঘটি শিকার ফেলে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তখন অন্যান্য মৎস্যজীবীরা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

দীপকের সঙ্গীরা জানান, অনেকক্ষণ ধরে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে তারা দীপককে রক্ষা করেন। তবে তাকে যে বাঁচানো যাবে না তা তারা ভাবতে পারেননি। এই ধরনের ঘটনা তাদের সঙ্গে কোনওদিন ঘটেনি বলেই তারা দাবি করেন। স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে। তবে গভীর জঙ্গলে যাওয়ার অনুমতি ছিল না বলেই জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়। বিশেষ করে মৎস্যজীবীরা যাতে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ না করেন তা নিয়ে প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হয়ে থাকে। তারপরেও অর্থ উপার্জনের আশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যেতে হয় মৎস্যজীবীদের।