TMC-Kamal Hossain: ‘অবজ্ঞার শিকার! চাপ নিতে পারছি না’, তৃণমূল ছেড়ে বিস্ফোরক দাবি কামাল হোসনের

বাববার অবজ্ঞার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর কথা শোনাই হচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূল ছাড়লেন দলের অন্যতম মুখপাত্র কামাল হোসেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সংখ্যালুঘরা ‘আলো দেখলে’ও, বাস্তবে সংখ্যালঘুদের একটা অংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। চাকরি নিয়ে তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংশয়।

পেশা শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, ‘দলে আমি একমাত্র বাঙালি সংখ্যালঘু মুখপাত্র। কিন্তু আমার কথাই শোনা হচ্ছে না। বিগত তিন মাস ধরে আমি কষ্টে আছি।’ কী কষ্ট তা জানিয়ে বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের তরফের চাপ আসছে। আমি আর নিতে পারছি না।’

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘কমিশন নিয়ে যা হয়ছে তা মোটেই ঠিক হয়নি। অ্যাডমিট কার্ড পরিবর্তন করার সুযোগ না দিয়ে শতাধিক প্রার্থীর কার্ড বাতিল করে করে দেওয়া হয়েছে। কেন সুযোগ দেওয়া হল না?’

পড়ুন। দুর্নীতি সংক্রান্ত ফোন পেয়েই কি ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়লেন দেব?

কামাল হোসেনের দাবি, বাববার এই অভিযোগ জানিয়ে তাঁর কাছে ফোন আসে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তিনি আরও দাবি করেন, ম্যাসেজ করলে তা কেই পড়েও দেখেনি। কামাল হোসেন বলেন, ‘একে অবজ্ঞা ছাড়া আর কী বলব। আমার কথা যখন শোনাই হচ্ছে না তখন আমি আর থেকে কী করব।’

তাঁর দাবি, অন্য চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হলেও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কেউ কথা বলছে না।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আইএসএফ প্রসঙ্গও তোলেন। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দল প্রভাব বাড়ার কারণ হিসাবে সংখ্যালঘুদের একাংশের অসন্তোষের কথা বলেন তিনি। কামাল বলেন,’সংখ্যালঘুদের একটা অংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তাই এতো সহজে আইএসএফ বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে।’

লোকসভা ভোটের আগে দলের সংখ্যালঘু সেলের মুখপাত্রের দলত্যাগ কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলবে শাসকদলকে। এই পদত্যাগ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘হিজাব পরে সংখ্যালঘুদের প্রিয়পাত্র হয় উঠছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। আর সংখ্যালঘুদের মুখ হিসাবে জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, আরাবুলদের মতো নেতা তৈরি হয়েছে। তাদের জন্যই বাংলার সংখ্যালঘুরা সমস্যায় পড়ছেন। তৃণমূল আমলেই সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয়েছেন সংখ্যালঘুরা।

যদিও তৃণমূলের তরফে এই নিয়ে কোনও প্রক্রিয়া জানা যায়নি।