TMC-Kamal Hossain: ‘সাময়িক অভিমান!’ কয়েক ঘণ্টায় ভোল বদল কামাল হোসেনের

দুপুরে রীতিমতো সংবাদিক বৈঠক করে দল থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কামাল হোসেন। তাঁকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে, তার কথা শোনা হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলেছিলেন দলীয় নেতৃত্বে প্রতি। শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রতিও তিনি ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিলেন দলের প্রতি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ভোল বদল করে জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলেই আছেন তিনি। যে সব নিয়ে তাঁর ক্ষোভ ছিল সব কমে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

পেশায় শিক্ষক কামাল হোসেন এর আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘দলে আমি একমাত্র বাঙালি সংখ্যালঘু মুখপাত্র। কিন্তু আমার কথাই শোনা হচ্ছে না। বিগত তিন মাস ধরে আমি কষ্টে আছি।’ কী কষ্ট তা জানিয়ে বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের তরফের চাপ আসছে। আমি আর নিতে পারছি না।’

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘কমিশন নিয়ে যা হয়ছে তা মোটেই ঠিক হয়নি। অ্যাডমিট কার্ড পরিবর্তন করার সুযোগ না দিয়ে শতাধিক প্রার্থীর কার্ড বাতিল করে করে দেওয়া হয়েছে। কেন সুযোগ দেওয়া হল না?’

পড়ুন। ‘অবজ্ঞার শিকার! চাপ নিতে পারছি না’, তৃণমূল ছেড়ে বিস্ফোরক দাবি কামাল হোসনের

কামাল হোসেনের দাবি, বাববার এই অভিযোগ জানিয়ে তাঁর কাছে ফোন আসে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তিনি আরও দাবি করেন, ম্যাসেজ করলে তা কেউ পড়েও দেখেনি। কামাল হোসেন বলেন, ‘একে অবজ্ঞা ছাড়া আর কী বলব। আমার কথা যখন শোনাই হচ্ছে না তখন আমি আর থেকে কী করব।’

এর পর মঙ্গলবার সন্ধের মধ্যে কামাল ভিডিয়ো বার্তায় দুপুরে যা কিছু বলেছিলেন, তার থেকে সরে গিয়ে বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমি কিছু কথা বলেছি, সাময়িক অভিমান আর কষ্ট থেকে বলেছি। মাদ্রাসা সংক্রান্ত কিছু বক্তব্য ছিল। সেই বিষয়ে দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে। তবে সমস্যাটা যেহেতু গভীর, তাই একটু সময় লাগতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কথা বলেছি সংবাদমাধ্যমে। সেগুলো না বললেই ভাল হত। আমি দুঃখিত, দলের শীর্ষনেতাদের প্রতি আমার আস্থা আছে।’

তিনি এখনও তৃমমূলের মুখপাত্র আছেন বলে জানিয়েছেন কামাল হোসেন।