‘‌আমি প্রার্থনা করছি কংগ্রেস যেন ৪০টি আসন বাঁচাতে পারে’‌, মমতার কথায় খোঁচা মোদীর

দু’‌দিন আগেই রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের উদ্দেশে বলেছিলেন, গোটা দেশে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক কংগ্রেস। ৪০টা আসনও পার করতে পারবে না। এবার সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এটুকু যেন কংগ্রেস পায় সেই প্রার্থনা তিনি করছেন বলে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি কিনা কংগ্রেস মুক্ত ভারতবর্ষ দেখতে চান। এই মন্তব্য থেকে দুটি বিষয় উঠে আসছে। যা নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতি তোলপাড়।

এই দুটি বিষয়ের মধ্যে রাজনীতির খোঁচা রয়েছে ছত্রে ছত্রে। এক, কংগ্রেস ৪০ আসন পেলে অন্তত বিরোধী দল হয়ে থাকবে। যাকে সংসদে নাকানিচোবানি খাওয়ানো সম্ভব হবে। দুই, ইন্ডিয়া জোটের এক শরিকের মন্তব্য নিয়ে আর এক শরিককে খোঁচা দিলে জোট ভেঙে যাবে। আর সেটাই চাইছেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সত্যিই যদি ইন্ডিয়া জোট গঠিত স্ট্র‌্যাটেজি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে গেরুয়া শিবিরের কপালে দুঃখ অবশ্যম্ভাবী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে ঢাল করেই তাই খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে তখন রাজ্যসভায় ধন্যবাদজ্ঞাপক সভা চলছিল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর তা চলছিল। এমন সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‌পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা চ্যালেঞ্জ এসেছে আপনাদের সামনে। কংগ্রেস ৪০টি লোকসভা আসন পার করতে পারবে না। কিন্তু আজ আমি একটা প্রার্থনা করতে চাই। প্রার্থনা করার অধিকার তো আমার রয়েছেই। আমি প্রার্থনা করছি আপনারা অন্তত যেন চল্লিশটা আসন বাঁচাতে পারেন।’‌ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের দিকে তাকিয়ে এভাবেই খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। যা বেশ গায়ে লেগেছে কংগ্রেসের।

আরও পড়ুন:‌ টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে টানাটানি, মমতার বাংলা জিআই ট্যাগ পেতেই প্রতিবাদ হাসিনার বাংলাদেশ‌

অন্যদিকে আজকের বক্তব্যের শুরু থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিবারতন্ত্র, ঔপনিবেশিকতার মনোভাব নিয়ে চলা সাবেক জাতীয় দলের সমালোচনা করেন। তাঁর কথায়, ‘‌কংগ্রেসের যে পরিণতি হয়েছে তা আমার কথার জন্য হয়েছে এমন নয়। কংগ্রেস যে বীজ বপন করেছিল, এখন সেটারই ফল ভোগ করছে। মল্লিকার্জুন খাড়গেজি অনেকক্ষণ ধরে বক্তব্য রাখছেন। আমি ভাবছিলাম কেমন করে এই সুযোগ পেলেন তিনি। তারপরই আমি অনুভব করলাম দু’‌জন কমান্ডার এখানে নেই। তাই সেই সুযোগটা নিচ্ছেন। খাড়গেজি নিশ্চয়ই ওই গানটি শুনেছেন, অ্যায়সা মওকা ফির কাহা মিলেগা।’‌ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সংসদে এটাই প্রধানমন্ত্রীর সম্ভবত শেষ ভাষণ। তাই পুরোটাই ছিল রাজনৈতিক।