‘‌খুব শিগগিরই সবার মুখে হাসি ফুটবে’‌, এসএলএসটি নিয়োগ নিয়ে বড় দাবি কুণালের

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা অস্ত্র করেছে। আর এই শিক্ষাক্ষেত্রেই নিয়োগের নতুন খবর আসতে চলেছে বলে এবার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নবম থেকে দ্বাদশের (এসএলএসটি) শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগে আইনি জট তৈরি হয়েছিল। এবার সেটাই কাটার ব্যাপারে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। এমনকা কুণালের দাবি, আগামী সোমবার এই নিয়োগ জট কাটার ব্যাপারে বড় পদক্ষেপ হতে পারে। এই দাবি করে কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি পোস্ট করতেই বিরোধীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এদিকে এই আতঙ্কের কারণ হল, সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই নিয়োগ হয়ে গেলে ৩৫টি আসন বাংলায় স্বপ্নই থেকে যাবে। আজ, বুধবার এসএলএসটি নিয়োগ নিয়ে মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলা নিয়ে। রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এই নিয়ে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে কুণাল কথা বলেছিলেন এজি’‌র সঙ্গে। আর আজ, বুধবারের শুনানির পর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুণাল এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মনে রাখুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগের সব ব্যবস্থা করে দিলেও বিরোধীদের অন্যায্য মামলার জটে আটকে ছিলেন যোগ্যরা।’

অন্যদিকে এই এক্স হ্যান্ডেলে নিজের লেখায় বিরোধীদের তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ। আর তাতেই রাজনীতির আকাশের ঈশান কোণে মেঘ জমতে দেখছেন প্রধান বিরোধী দল। এই নিয়োগ নিয়ে কুণাল লিখেছেন, ‘আশা করি খুব শিগগিরই সবার মুখে হাসি ফুটবে। জট কাটার দিকে এগোচ্ছে।’ কুণালের আশা, সোমবার ইতিবাচক কিছু একটা হবে। কারণ তেমনই সওয়াল করেছেন এজি বলে দাবি কুণালের। ২০১৬ সালে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল তৈরি হয়ে গেলেও নতুন মামলায় তা আটকে গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার শূন্যপদ তৈরি করেছিল। কিন্তু আইনি জটে নিয়োগ থমকে যায়।

আরও পড়ুন:‌ এবার আন্দোলনে নামলেন পাণ্ডুয়ার কৃষকরা, রাসায়নিক কারখানা গড়ার কাজ বন্ধ

এছাড়া এই নিয়োগের জন্য চিঠিও দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। প্যানেল বৈধ ছিল। তারপরও আইনি জটে আটকে ছিল নিয়োগ। এবার তা খুলতে শুরু করেছে। কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে বলেছিলেন, ‘কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতি করছেন। চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে গেলে তাঁরা আমাকে স্মারকলিপি দেন। তা আমি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’ কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসাবেই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন কুণাল। এবার সেই জট কেটে নিয়োগ হতে চলেছে বলে দাবি তাঁর।