মিয়ানমার থেকে পালিয়ে টেকনাফে আরও ৬৩ সীমান্তরক্ষী

জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর আরও ৬৩ সদস্য। এর আগে, গত চার দিনে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্যসহ ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছিল।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উত্তর কোনাপাড়া সীমান্ত দিয়ে তারা অস্ত্রশস্ত্রসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৬৩ মিয়ানমার বিজিপিকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।’ এরা সবাই বিজিপি সদস্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক বলেন, ‘ভাষা সমস্যাসহ নানা কারণে আমরা পরিপূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে সকলেই মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের জানমাল ও সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি বদ্ধপরিকর।’

এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৫ জনে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিজিবির তথ্য অফিসার শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্যসহ ৩২৭ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সংঘাত বন্ধ বলা যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ শোনা গেলেও গোলাগুলির শব্দ আর নেই।