‘যারা সংবিধানে বিশ্বাস করে না, তারা আবার কংগ্রেসকে দেশপ্রেম দেখাচ্ছে’, মোদীকে পাল্টা দিলেন খাড়গে

রাজ্যসভায় এদিন তাঁর ভাষণে নানান ইস্যুতে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন মোদী। দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে, নেহরুর লেখা চিঠির প্রসঙ্গ তুলে সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে জোরালো তোপ দাগেন। দেশের ঐক্য প্রসঙ্গেও নাম না করে মোদী একহাত নেন কংগ্রেসকে। এদিকে, মোদীর ভাষণের পর পাল্টা তোপ দাগেন কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি অভিযোগ তোলেন, যে মোদী বুধবার রাজ্যসভায় ইউপিএ সরকার সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণ কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে ছিল বলে তিনি সরব হন। 

রাষ্ট্রপতি মুর্মুর ভাষণের প্রেক্ষিতে ‘মোশন অফ থ্যাঙ্কস’ এর ডিবেটে এদিন রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংরক্ষণ ইস্যুতে বলতে গিয়ে মোদী বলেন, প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সংরক্ষণের পক্ষে ছিলেন না, বরং ছিলেন ‘সংরক্ষণের বিরোধী’। মোদী তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন, নেহরুর লেখা এক চিঠির ভিত্তিতে। এছাড়াও কংগ্রেসকে নাম না করে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগেন মোদী। এরপরই পাল্টা তোপ দাগেন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে। কংগ্রেসের সভাপতি একটি পোস্টে লেখেন, ‘ যারা সংবিধানে বিশ্বাস করে না তারা কংগ্রেসের কাছে দেশপ্রেমের কথা বলছে।’ মোদীকে তোপ দেগে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘মোদীজি, উভয় কক্ষে আপনার বক্তৃতায় আপনি শুধু কংগ্রেসকে অভিশাপ দিয়েছেন। ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও, নিজের সম্পর্কে কথা বলার পরিবর্তে, তিনি কেবল কংগ্রেস দলের সমালোচনা করেন। আজও তিনি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে কথা বলেননি।’ খাড়গে বলেন, ‘আসলে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। এনডিএ মানে নো ডেটা অ্যাভেলেভল গভর্নমেন্ট — আদমশুমারি ২০২১ পরিচালিত হয়নি, কোনও কর্মসংস্থানের তথ্য নেই, কোনও স্বাস্থ্য জরিপ নেই। সরকার সব পরিসংখ্যান গোপন করে মিথ্যা ছড়ায়। মোদী কি গ্যারান্টি শুধুমাত্র মিথ্যা ছড়ানোর জন্য।’

এরপর স্বাধীনতা আমলের ঐতিহাসিক ডান্ডি মার্চের প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘যারা সংবিধানে বিশ্বাস করতেন না, ডান্ডি মার্চ এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেননি তারা আজ কংগ্রেস পার্টিকে দেশপ্রেম নিয়ে বলার সাহস দেখাচ্ছে।’ খাড়গে বলেন, ‘মোদীজি ইউপিএ সরকার সম্পর্কে অসংখ্য মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই – ইউপিএ শাসনামলে বেকারত্বের হার ছিল ২.২ শতাংশ, কেন এটি আপনার মেয়াদের ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ?’