Indian Student Attacked in USA: মুখে ফেটে ঝরল রক্ত, মার্কিন মুলুকে নৃশংস হামলার শিকার ভারতীয় পড়ুয়া

আমেরিকায় ফের আক্রান্ত ভারতীয় পড়ুয়া। বিগত কয়েকদিনে একাধিক ঘটনায় ভারতীয় পড়ুয়াদের প্রাণ গিয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে। আর এবার শিকাগো শহে নৃশংস হামলার শিকার হলেন হায়দরাবাদের যুবক সৈয়দ মাজাহির আলি। জানা গিয়েছে, চারজন ছিনতাইবাজ তাঁর ওপর এই হামলা চালায়। ঘটনার একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাতে দেখা গিয়েছে, সৈয়দের মুখ ফেটে রক্ত ঝরছে। জানা গিয়েছে, সৈয়দ হায়দরাবাদের লঙ্গর হৌজ এলাকার বাসিন্দা। আমেরিকায় স্নাতোকত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে গিয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়ানা ওয়েসলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করছেন।

ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সৈয়দের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। ততে দেখা যাচ্ছে দরদর করে তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। সেই ভিডিয়োদে সৈয়দকে বলতে শোনা যাচ্ছে, খাবার কিনে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই চার ছিনতাইবাজ তাঁর ওপর হমলা চালায়। এদিকে ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, সৈয়দের পিছনে তিন ছিনতাইবাজ ছুটছে। ঘটনাটি ক্যাম্পবেল অ্যাভেনিউতে ঘটেছে। সৈয়দের বাড়ি থেকে ঘটনাস্থল বেশ কাছে।

সিসিটিভি ফুটে ঘটনার যে দৃশ্য ধরা পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, সৈয়দ হামলাকারীদের থেকে নিজেকে বাঁচাতে ছুটছেন। এদিকে দৌড়তে দৌড়তে একটা সময়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে মাটিতে মুথ থুবড়ে পড়ে যান সৈয়দ। এরপরই হামলাকারীরা তাঁকে ঘিরে ফেলে কিল, ঘুষি, লাথি বসাতে থাকে। এদিকে হামলাকারীরা মারধর করার পর সৈয়দের থেকে তাঁর ফোনও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে ব্যক্তিগত ভিডিয়োটির শেষে সৈয়দকে সাহায্যের জন্য কাতর আর্তি জানাতে শোনা যায়। এদিকে মার্কিন মুলুকে পরপর ভারতীয়দের ওপর হামলার ধারাবাহিকতা বজায় থাকার জেরে স্বভাবতই সেখানে বসবাসরত ভারতীয়দের মধ্য়ে উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে হায়দরাবাদের শ্রেয়স রেড্ডি বেনিগার নামক এক ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল আমেরিকায়। তিনিও হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। ওয়াহোতে লিন্ডার স্কুল অফ বিজনেসে পড়াশোনা করতেন শ্রেয়স। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি হরিয়ানার বাসিন্দা বিবেক সাইনিকে খুন করা হয়েছিল আমেরিকার জর্জিয়া প্রদেশে। সেই ঘটনায় এক গৃহহীন ব্যক্তি বিবেকের মুখে হাতুড়ি দিয়ে অন্তত ৫০ বার আঘাত করে তাঁর মাথা থেঁতলে দিয়েছিল। জানা যায়, শ্রেয়স একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করতেন। তাঁর হত্যাকারীকে এর আগে বেশ কয়েকদিন ধরে খাবার এবং আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি। তবে খুনের দিন, সেই গৃহহীনকে চলে যেতে বলেছিলেন বিবেক। এরপরই রাগের মাথায় বিবেকের মুখে হাতুড়ি দিয়ে প্রহার করেছিল সেই ব্যক্তি।