Nepal Saha murder case: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা নেপাল সাহা খুনে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতা তথা রেশন ডিলার নেপাল সাহা খুনে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। এই ৪ জনকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল কান্দি মহকুমা আদালত। বুধবার তাদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এই ঘটনার ৪ আসামির নাম হল বরুণ ঘোষ, বিষ্ণু দোলুই, তারকনাথ সাহা এবং সপ্তম সাহা। প্রায় ৩ বছর ধরে বিচার চলার পর এদিন সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।

আরও পড়ুন: বাবার সরকারি চাকরি পেতে অবসরের ৩ মাস আগে বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

নেপাল সাহা কান্দি থানার অন্তর্গত মাহাদিয়া গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কান্দি থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন নেপাল সাহা। তিনি শুধু ডিলারই ছিলেন না, একজন বিশিষ্ট তৃণমূল নেতাও ছিলেন। ফলে এই তৃণমূল নেতা খুনের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কান্দিতে। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা।

প্রথমে নেপাল সাহাকে গুলি করা হয় এবং তার পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় ওই চারজনের নাম জড়ায়। এরপর একে একে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলা শুরু হয় আদালতে। এই খুনের ঘটনায় গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগে শোরগোল পরে গিয়েছিল। কংগ্রেস ও বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ তুলেছিল। তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এদিকে, নেপাল খুনের পরেই দুর্গাপুর এলাকায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নেপাল সাহার পরিবারে বর্তমানে রয়েছে তাঁর দুই ছেলে ও স্ত্রী। খুনের পরে শোকের ছায়া নামে তৃণমূল নেতার পরিবারে। অবশেষে তিন বছর পর এই মামলায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। আসামিদের ৩০৭ ধারায় খুনসহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদিও মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী সুনীল চক্রবর্তী আদালতের এই রায় সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি। ফলে নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন কিনা তা জানা যাচ্ছে না। বুধবার আদালতের রায়ে খুশি নেপাল সাহার পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রথম থেকেই এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।