স্বাস্থ্য দফতর নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল, নয়া নিয়মে ব্লাড ব্যাঙ্কের উন্নতি ঘটছে

রোগীর রক্তের জন্য যখন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ব্লাড ব্যাঙ্কে ছুটে যান আর শুনতে হয় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সংশ্লিষ্ট রক্ত দিতে সময় লাগবে। এই পরিস্থিতি ও রোগীর পরিবারের টেনশন কাটাতে ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য নয়া গাইডলাইন নিয়ে এল স্বাস্থ্য দফতর। আর তার জেরে এখন থেকে সব ব্লাড ব্যাঙ্কে মিলবে হোল ব্লাড, প্লাজমা, শ্বেতরক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকা। আসলে রক্তের উপাদান আলাদা করার পরিকাঠামো সব জায়গায় ছিল না। এবার এই পরিকাঠামো না থাকা ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকে যুক্ত করা হচ্ছে পরিকাঠামো যুক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে। এই কাজের আওতায় আসছে জেলার হাসপাতালগুলিও।

এদিকে নয়া গাইডলাইন সম্পর্কে সকলে জানতে খোঁজ শুরু করেছেন। জারি করা গাইডলাইনে বলা আছে, রোগীদের রক্তের প্রয়োজন পড়লে এতদিন বহু ব্লাড ব্যাঙ্কে মিলত হোল ব্লাড। যা সকল রোগীর প্রয়োজন থাকে না। প্লেটলেট, প্লাজমা, শ্বেতরক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকার মতো বিভিন্ন উপাদানের রক্ত পৃথকীকরণের পরিকাঠামো নেই এমন ব্লাড ব্যাঙ্কের তালিকা তৈরি করতে হবে। আর তারপর পরস্পরের মধ্যে সংযুক্তিকরণ ঘটাতে হবে। এমনকী পরিকাঠামোহীন মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ করতে হবে। পরিকাঠামোহীন ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্ত সংগ্রহ করে পাঠাবে পরিকাঠামো যুক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে। রক্তের উপাদান পৃথক করার পর সেসব ফিরিয়ে নেবে পরিকাঠামোহীন ব্লাড ব্যাঙ্ক।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপকার হবে। গ্রামের মানুষদের এবং শহরেও এক নিমেষে সংশ্লিষ্ট রক্ত মিলবে। মহকুমা স্তরের হাসপাতালেও রক্তের নানা উপাদান এবার থেকে পাবেন তাঁরা। এম আর বাঙুর এবং চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্ত পৃথক করার পরিকাঠামো নেই। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় রোগীদের। এবার সেই সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতালরে সুপার শিশির নস্কর বলেন, ‘‌খুব সুবিধা হল। রোগীর নির্দিষ্ট উপাদানের প্রয়োজন মিটবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ রাতের শহরকে জল দিয়ে স্নান করানো হবে, ধুলোমুক্ত করতে উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি অর্থোপেডিক অপারেশন করার ক্ষেত্রে বদল এনেছে রাজ্য সরকার। জানুয়ারি মাসে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এবার থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে আনতে হবে রোগীকে। তার সঙ্গে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত প্রামাণ্য সরকারি নথি থাকা বাধ্যতামূলক। এগুলি থাকলে তবেই বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা। তাতে যদি কোনও রোগীর রক্তের প্রয়োজন হয় তা সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল দিতে পারবে। সুবিধা মিলবে কার্ডের।