Arabul Islam: জামিন হল না আরাবুলের, মুখ ঢেকে এলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা

ভাঙরের প্রাক্তন বিধায়ক। দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। জামিন মিলল না তার। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আরাবুলের জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু তার জামিনের আবেদন মেলেনি। তদন্তকারীরা তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত ১২দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় এক আইএসএফ নেতাকে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা আরাবুলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিকে এদিন দেখা যায় আরাবুল একেবারে মুখ ঢেকে আদালতে এসেছেন। এভাবে এর আগে আরাবুলকে মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখা যায়নি। এদিকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের এই ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। এর আগে চমকানো, ধমকানোর উপর দিয়ে রাজনীতি করতেন আরাবুল। তাকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক। সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেও ধমকাতেন চমকাতেন আরাবুল। কিন্তু সেই আরাবুল এদিন একেবারে মুখ ঢেকে আদালতে আসেন। 

এদিকে পুলিশের পক্ষের আইনজীবী জানিয়ে দেন, আট মাস বাদে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। যে তিন হাজার মানুষ সেদিন এলাকায় ছিলেন তাদের কন্ট্রোল করছিল আরাবুল। যে অস্ত্র সেদিন ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা উদ্ধার করতে হবে।

যে নেতার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য তৃণমূলের কেষ্ট বিষ্টুদের মধ্য়ে প্রতিযোগিতা থাকত, সেই নেতাকে এদিন দেখা যায় একেবারে মুষড়ে পড়া অবস্থায়। 

বৃহস্পতিবার ভাঙড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরাবুলকে। তবে কি লোকসভা ভোটের আগে আইএসএফের সঙ্গে সন্ধি প্রস্তাবের জন্য় আরাবুলকে গ্রেফতার করা হল? কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কেন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল তা নিয়ে কার্যত ধন্ধে পড়ে গিয়েছেন অনেকেই। 

এদিন আদালতে আরাবুলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আরাবুল ভীষণ অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছে। তাছাড়া পঞ্চায়েত ভোটের সময় তার গাড়ির ড্যাশবোর্ডেই বোমা রেখে তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকী ঘটনার এতদিন বাদে অস্ত্র উদ্ধার নাম করে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়।

ভাঙড় তৃণমূলের বড় স্তম্ভ হল আরাবুল ইসলাম। শাসকদলের দাপুটে নেতা। ভোটের সময় তার দাপট থাকে চোখে পড়ার মতো। আইএসএফকে আটকাতে তিনি একেবারে সক্রিয় ভূমিকা নিতেন। তবে সেই আরাবুলকে লোকসভা ভোটের আগে পুলিশ যে গ্রেফতার করতে পারে এটা স্বপ্নেও কেউ ভাবতে পারেনি। তবে কি রাজধর্ম পালনের জন্য় এই গ্রেফতার নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য় অঙ্ক?