Elope With Driver: রাজ্য সরকারের আমলার মেয়ে পালিয়ে গেল ‘ড্রাইভার কে সাথ!’ লন্ডনে পড়তে না গিয়ে উঠল মুম্বইয়ের বস্তিতে

কথায় আছে ভদ্দর ঘরকা লেড়কি ভাগে ড্রাইভার কে সাথ! কেয়া শরম কি বাত! কিন্তু সেটা আর রিল লাইফে নয়। একেবারে রিয়েল লাইফে হয়েছে এই ঘটনা। মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্য়েই ৩৫ বছর বয়সি এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। রাজ্য সরকারি এক আধিকারিকের গাড়ির চালক হিসাবে তিনি কাজ করতেন। ওই ব্যক্তি আমলার ১৯ বছরের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই তরুণীর বাবা মহারাষ্ট্রের এক পদস্থ আমলা। তার মেয়েকে নিয়ে তারই গাড়ির চালক পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বজরং মৌর্য। আর ওই কন্যা লন্ডনে পড়াশোনা করেন। গত ১৩ জানুয়ারি তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই ড্রাইভার। সেদিনই তার ভারত থেকে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে মুম্বই পুলিশ ওই চালকের ভাইকেও গ্রেফতার করেছে। 

পালিয়ে গিয়ে তারা বিয়ে করেছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। ওখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা বস্তিতে থাকা শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর ওই তরুণী তার বাবা মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করেন। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি তার লন্ডনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে তিনি গাড়ি থামিয়ে নেমে যান। বলেন আমার কিছু কেনাকাটার আছে। এরপর ওই যুবকের হাত ধরে পালিয়ে যান। 

এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, ওই তরুণী গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পেরিয়ে একটা ট্যাক্সিতে উঠে পড়েছিলেন। এরপর তিনি ফোন সুইচ অফ করে দেন। এরপর থেকে তার  আর খোঁজ মিলছিল না। তবে ওই তরুণী নাবালিকা ছিলেন না। সেকারণে তার অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়নি প্রথমে। সেই সময় মিসিং ডায়েরি করা হয়। এদিকে পরে জানা যায় ওই তরুণী গাড়ির চালকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। এরপরই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তাদের ফোনের কল ডেটা খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে দেখা যায় এই ঘটনায় ওই যুবকের ভাইও জড়িত রয়েছে। পরে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। 

এদিকে পুলিশ সাড়ে ৯ লাখ টাকা, একাধিক আংটি, হার, দুল, ঘড়ি, চুড়ি, দুটি মোবাইল অজিতের বাড়ি থেকে পেয়েছে। তার দাবি বজরং এই টাকা, গয়না সব ওই তরুণীর কাছ থেকে পেয়েছে।